‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় দেশের ইউনিয়নে মোট ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়নে মোট ৬০ লাখ পরিবার তথা ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে ৬০টি দরিদ্র পরিবার নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০ জনই নারী। দরিদ্র মানুষ মাসে ২০০ টাকা সঞ্চয় করলে সরকার তাকে ২০০ টাকা বোনাস দিচ্ছে। এছাড়া গ্রাম সংগঠনকে বছরে অতিরিক্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘূর্ণয়মান তহবিল প্রদান করা হয়। এভাবে সরকার ২ বছরে একটি গ্রাম সংগঠনে মোট ৯ লাখ টাকার স্থায়ী তহবিল গড়ে দিচ্ছে।
সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী, জনমুখী এবং উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানে সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমানে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সরকার সব সময় জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থানীর সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ সরকার অব্যাহত রাখবে।
আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে এরই মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে।
এতে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদে পুকুর, দীঘি ও জলাশয়গুলো পুনর্খনন/সংস্কার শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৮০৯টি পুকুর পুনর্খনন করা হবে। এছাড়া পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের ১৪৩টি পুকুর পুনর্খনন করা হবে।