ভিক্ষুকরা এখন নানা পেশায়: কিশোরগঞ্জ উপজেলাকেও বদলে দিয়েছিলেন তিনি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ২০১৪ সালের ৫ জুলাই ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর পেছনের কারিগর ছিলেন সে সময়ের কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিদ্দিকুর রহমান। ওই সময় এ পেশার সঙ্গে যুক্ত ৯৭৯ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আয়বর্ধক কাজ শুরু করে। পরনির্ভরশীল সেই ব্যক্তিরা এখন অনেকটাই আত্মনির্ভরশীল।

সূত্র জানায়, ৬৯০ পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে। তাদের মধ্যে ৯৫১ জনকে আনা হয়েছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায়। এর আওতায় সুদবিহীন ঋণ দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে কর্মসংস্থানের।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ১০১ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তারা এখন প্রত্যেকে বিভিন্ন কর্মসংস্থানে জড়িয়ে পড়েছে। তারা যাতে সেখান থেকে ছিটকে না পড়ে, এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারা কি করছে, সে ব্যাপারে নজর রাখছি। ’

কিশোরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আলম হোসেন বলেন, ‘পুনর্বাসিত হওয়া অনেক ভিক্ষুককে আমি দেখেছি। তারা বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্ম করছে। ’

কিশোরগঞ্জের ইউএনও এস এম মেহেদি হাসান বলেন, ‘পুনর্বাসিতদের জন্য আরো নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে নতুন কেউ ওই পেশায় না আসে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। ’