সোয়া দুই লাখ কৃষককে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা

আউশ ধানের উত্পাদন বৃদ্ধি, কুমড়া-জাতীয় সবজির পোকা দমন, পাট ও আখের উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য সোয়া দুই লাখ প্রান্তিক কৃষককে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার অংশ হিসেবে কৃষকরা সার, বীজ, ফাঁদ ও প্রদর্শনীর সরঞ্জাম এবং সেচ সুবিধা পাবেন। প্রণোদনার কারণে অতিরিক্ত প্রায় ৭৭ হাজার টন চাল উত্পাদন হবে।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিসচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ্সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উত্পাদন বৃদ্ধিতে উফশী আউশে ৫১ জেলায় ২৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, নেরিকা আউশে ৪০ জেলায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৬৪ জেলায় কুমড়া জাতীয় সবজির মাছি পোকা দমনে, ৭ জেলায় পাট ও চট্টগ্রামে আখের উত্পাদন বৃদ্ধিতে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উফশী আউশ আবাদে দুই লাখ কৃষক উপকরণ বাবদ এক হাজার ৩৫৫ টাকার এবং নেরিকা আউশ চাষে ২০ হাজার কৃষক এক হাজার ৯৫০ টাকার সহায়তা পাবে। এর মধ্যে উফশী আউশ আবাদে প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার পাবে। সেচের জন্য পাবে ৪০০ টাকা। আর নেরিকা চাষবাদে প্রত্যেক কৃষক ১০ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার পাবে। সেচের জন্য পাবে ৪০০ টাকা। আগাছা দমনের জন্য পাবে ৪০০ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কুমড়ো জাতীয় ফসলে ফেরোমেন ফাঁদ স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতি ৫০ শতক জমির জন্য ৩৬টি লিউর, ১৮টি পটসহ রেজিস্ট্রার, সাইনবোর্ড কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এ ছাড়া পাট ফসলের প্রদর্শনী স্থাপনের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি বীজ, ২৫ কেজি ইউরিয়া, ৮ কেজি টিএসপি, ১০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম, একটি সাইনবোর্ড ও একটি রেজিস্ট্রার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আখ প্রদর্শনী স্থাপনের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ফেরোমেন ফাঁদ স্থাপনে সহায়তা পাবেন ৫ হাজার ৯২০ জন, পাট ফসলের প্রদর্শনী স্থাপনে ৬৫ জন ও আখ ফসলের প্রদর্শনী স্থাপনে ৩ জন কৃষককে সহায়তা দেওয়া হবে।