এবার চার চাকার পরিবেশবান্ধব খোলা জিপ কার তৈরি করে জেলা প্রর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের পুরস্কার পেলেন শার্শার মিজানুর রহমান। ৩০ জানুয়ারি তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। নতুন এ গাড়িটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও কোনো ধোঁয়া নেই। এর আগে মিজানুর অগ্নিনির্বাপণ ডিজিটাল যন্ত্র, অগ্নিনির্বাপণ জ্যাকেট, ডিজিটাল কাচি, জালানি তেল ছাড়া পানি থেকে জলবিদ্যুৎ ও অটো সেচ যন্ত্র আবিষ্কার করে সবার নজর কেড়েছেন। এবার গাড়ি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
এটি একটি খোলা কার। চার চাকার কারটি তৈরিতে তার খরচ হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। এক লিটার পেট্রলে কারটি চলবে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে অত্যাধুুনিক আরও যন্ত্র আবিষ্কার করবেন বলে জানান এ তরুণ উদ্ভাবক। শার্শার মোটর ম্যাকানিক মিজানুর। একের পর নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করে এলাকা ছাড়িয়ে এখন সারা দেশে সাড়া ফেলেছেন। তার উদ্ভাবিত যন্ত্র প্রদর্শন করে উপজেলা, জেলা ও ঢাকায় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলায় পেয়েছেন একাধিক শ্রেষ্ঠ ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র এবং নগদ অর্থ। পেয়েছেন পরিবেশ পদক। তার যন্ত্রটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন বহু মানুষ। এ গাড়ির প্রতি মানুষের কৌতূহল এখন তুঙ্গে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান ও আবদুল শহীদ লাল বলেন, মিজানুর রহমানের দৃষ্টিকাড়া একের পর উদ্ভাবনে আমরা অবাক হয়েছি। তারা বলেন, গাঁও-গ্রামে লুকিয়ে থাকা মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল দেশ গঠনে সহায়ক হবে। এগিয়ে যাবে দেশ। বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দেশের তরুণদের উদ্ভাবনে আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয়দের দোয়া ও সহযোগিতায় বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ভাবন করে ক্রেষ্ট এবং সম্মাননা পেয়েছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে তার উদ্ভাবনী যন্ত্র বিদেশে রফতানি করতে চান। এজন্য তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।