এক জমিতে একাধিক ফসলে আগ্রহী চাষি, বাড়ছে জমি

বহুমাত্রিক ফসল চাষে দিনে দিনে আগ্রহী চাষি ও চাষের পরিমাণ বাড়ছে। এইক জমিতে এক সঙ্গে একাধিক ফসল চাষকে বলা হয় বহুমাত্রিক ফসল চাষ। পরিমিত জমি থেকে কাঙ্ক্ষিত ফসল পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার হাজারো কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীখ-ি, ভবানিপুর, কালিকাপুর, মাঝগাঁও ইউনিয়নের মহিষভাঙ্গা, তিরাইল বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের বাগডোব, মানিকপুর, বাজিতপুর, চকপাড়া গ্রামের অধিকাংশ জমি তিন ফসলি। এসব জমি থেকে আরও বেশি বেশি ফসল লাভের কৌশল হিসাবে চাষিরা বহুমাত্রিক ফসল চাষ শুরু করেছেন। অনুকূল আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় সার-কীটনাশকের সরবরাহ আর কৃষি বিভাগের পরামর্শের কারণে দারুণভাবে লাভবান হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কৃষক। এসব গ্রামের প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে ফসল চাষ হচ্ছে। এরসঙ্গে জড়িত হাজারো কৃষক এখন সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। বহুমাত্রিক ফসলের চাষে সফলতার বিষয়টি এখন উপজেলা থেকে জেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পরেছে। আর সেটাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গত শনিবার উপজেলার মহিষভাঙ্গায় বিভিন্ন ফসলী জমি পরিদর্শনে আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ্ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঞ্জুরুল হান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ফজলুর রহমান, নাটোরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ ও সংশ্লিষ্ট কৃষি বস্নকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মতিন। মহিষভাঙ্গা গ্রামের আদর্শ চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার দুই একর চাষের জমি থেকে আগে যে ফসল পেতাম তা দিয়ে সংসার চলে যেতো। বাজিতপুর গ্রামের চাষি আবদুল কাদের বলেন, আমার মাঠের জমিতে শুধু বিনা হালে রসুন চাষ হতো। এখন সেই জমিতে রসুনের সঙ্গে তরমুজ চাষ করছি। আগে রসুন অথবা তরমুজ যে কোন একটি ফসল করতাম। ফলে আমার বারতি আয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ বলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলায় বিনা হলে রসুনের চাষ এবং মুগ চাষের জন্য সারাদেশে পরিচিতি ছিল। এবার বহুমাত্রিক ফসল চাষের সফলতা নতুন মাত্রা যোগ করবে। তিনি আরো বলেন, কৃষি সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় বড়াইগ্রামের বহুমাত্রিক ফসল চাষ সরেজমিন পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।