উচ্চ শিক্ষায় শেখ হাসিনার উন্নয়নচিন্তা

বাংলাদেশের জনমানুষের প্রতিনিধি দেশরত্ম ও জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সবার জন্য উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আক্ষেপ করেছিলেন- স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও সাক্ষরতার হার শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। দেশে একটি সুন্দর শিক্ষা কাঠামো বিনির্মাণে জননেত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। আসলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে নেত্রীর কথাগুলো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনছিলাম তখন নেত্রীর জন্য মন গর্বে ভরে উঠেছিল।

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর পরই সবার জন্য শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা উন্মুক্ত করেছিলেন। এটি তার মহানুভবতা। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী উচ্চ শিক্ষাকে সঙ্কুচিত করে রাখতে চেয়েছিল। আজ যতটুকু অগ্রসর হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে তা বঙ্গবন্ধুর আমলে ভিত্তিভূমি স্থাপিত হয়। মাঝখানে তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ছিয়ানব্বইতে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তাঁর পিতার অসমাপ্ত কাজকে উন্মুক্ত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আর গত আট বছর ধরে নিরলসভাবে শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়াস গ্রহণ করেছেনÑ দ্বিতীয় টার্মের পুরো সময় এবং তৃতীয় টার্মের তিন বছরে উচ্চ শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে মান উন্নয়নে তার আন্তরিকতার অভাব দেখছি না। বঙ্গবন্ধু ড. কুদরত-ই-খোদাকে প্রধান করে যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছিলেন পঁচাত্তর পরবর্তী স্বৈরশাসকরা তা বন্ধ করেছেন। দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। সারাদেশে উচ্চ শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার প্রধান বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেনÑ পাবলিক হোক কিংবা প্রাইভেট হোক। পাশাপাশি মান উন্নতকরণে তার প্রয়াসের ঘাটতি নেই। বর্তমানে দেশে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৯৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নেত্রকোনায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আর জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশেষায়িত উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হবে। আসলে এ দেশে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারে জননেত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তিনি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি বিধান করতে চান। আসলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি সে জন্য শিক্ষায় সরকার কর্তৃক বিনিয়োগে যেমন উৎসাহী তেমনি বেসরকারী খাত থেকে বিনিয়োগ হোক এ প্রত্যাশা করেন। আর তাই শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে মান উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছেন। পাশাপাশি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চালুর ব্যবস্থা নিয়েছেন।

দেশে যে জঙ্গীবাদের কিছুটা উত্থান নব্বইয়ের দশকে হয়েছিল, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় সে সময়ে দুটো স্থানÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ, বিজনেস ফ্যাকাল্টি এবং বুয়েটে ঘটেছিল। বিএনপি-জামায়াত চক্রটি ধীরে ধীরে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করেছিল। প্রফেসর ড. শামসুল হক যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ছিলেন। সকল নিয়ম-কানুন মেনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি চমৎকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অথচ বিএনপি-জামায়াত চক্রটি সেই সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল কোন কারণ ছাড়াই। যারা সেখান থেকে এমবিএ এবং মাস্টার্স ইন কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন কোর্স করেছিলেনÑ তারা কিন্তু মূল সনদ পাননি। তৎকালীন ইউজিসির চেয়ারম্যানও এ ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি। ভাবতে অবাক লাগে নতজানু ও দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করে এ অন্যায় কাজে তৎকালীন ইউজিসি চেয়ারম্যান পার পেয়ে গেছেন। অন্য কোন দেশ হলে অবশ্যই তাকে জবাবদিহি করতে হতো। এখনও কোনভাবে সার্টিফিকেট দেয়া যায় কিনা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইউজিসিকে অনুরোধ করব।

শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করতে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের আওতায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা ব্যবস্থায় মান উন্নতকরণ এবং আধুনিকায়নের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর আওতায় দেশব্যাপী তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সহজলভ্য ঋণের ব্যবস্থা নিয়েছেন।

নারী শিক্ষার সম্প্রসারণে নারী শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ জন্যই শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন যে, স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধিকাংশই বাস্তবায়নে তার সরকার তৎপর রয়েছে। স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ধারা ৪-এ সাতটি অভীষ্ট লক্ষ্য রয়েছে এবং তিনটি উপায় রয়েছে বাস্তবায়নের। তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ধারাসমূহ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে সমাজের কল্যাণে, জনগণের উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করে চলেছেন। এ জন্য তার দিকনির্দেশনায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বৈদেশিক অনুদাননির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টিয়ে দেশের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার মডেল তৈরি করতে সচেষ্ট রয়েছে। বৈদেশিক সাহায্য যাতে দেশের মানুষের কল্যাণে মানবসম্পদ গঠনে সাহায্য করে সে জন্য তার নির্দেশিত পথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে অবশ্য সম্মিলিত নাগরিক সমাজ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এসডিজি-৪ এর আলোকে কি করণীয় সে ধরনের কর্মশালা করতে পারেÑ যাতে গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে শিক্ষার মান ও প্রসারজনিত কর্মকা-ের বিস্তারিত বিবরণ ফুটে ওঠে। তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষাকে তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মনে পড়ে আজ থেকে ছয় বছর আগে চাকরিনির্ভর ও বিজ্ঞানভিত্তিক উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সকলের জন্য উপযোগী চাকরিনির্ভর ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার জন্য তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তার এ কথা অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ। তিনি আরও বলেছিলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। অন্যদিকে একটি শিক্ষিত দেশ একটি উন্নত জাতি উপহার দিতে সক্ষম বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তার সরকার উচ্চ শিক্ষা সহজ করতে এক হাজার কোটি টাকার একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষার সম্প্রসারণে সত্যিকার অর্থে বেসরকারী বিনিয়োগকারী যারা কাজ করবে তাদের কর রেয়াত দেয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন। বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা সরকারপ্রধানের ইচ্ছায় সম্মান জানিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে পারেনÑ নিঃস্বার্থভাবে বিশেষায়িত জ্ঞানের বিকাশ সাধনে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ সাধন ও নৈতিকতার মান উন্নয়নে কর্মোদ্যম আগ্রহী শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস কর্মকা- দেশের অগ্রযাত্রাকে সাফল্যের রূপ দিচ্ছে। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা যা দেশ ও জাতির মানবকল্যাণে ব্যয়িত হয় সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স এ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্প থেকে ফেলোশিপের আওতায় অনুদানের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে আধুনিকায়নের ব্যবস্থা নিয়েছেন। এখন সময় এসেছে বাণিজ্য ও অর্থনীতি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ল্যাব ও প্রাকটিক্যাল শিক্ষার ব্যবস্থার করা। এ জন্য অবশ্যই বেসরকারী খাতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিজনেস এ্যান্ড ইকোনমিক ইনকিউবেটর চালু এবং কোর্স কারিকুলামে প্রাথমিক পর্যায়ে ন্যূনতপক্ষে ৪০% হাতে কলমে প্রতিটি বিষয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। নচেত মুখস্থ বিদ্যায় ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে বরং পারদর্শী হচ্ছে ফটোকপিয়ার। ফেসবুক পেডাগোগি তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।

রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো স্থাপনা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের প্রথম দিকে মন্তব্য করেছেন যে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথে নেয়া ঠেকাতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, জঙ্গীবাদ থেকে ছাত্র সমাজকে মুক্ত রাখতে হবে এবং তারা যেন কোন ধরনের জঙ্গীবাদে জড়িয়ে না পড়ে। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, জঙ্গীরা শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের বিপথে নিয়ে যায় আর এ জন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তার বক্তব্যসমূহ বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। দেশে ক্যাম্পাস পুলিশ ও গোয়েন্দা তৈরির ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত সন্দেহভাজন জঙ্গী ছাত্রছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এ দেশে সরকার জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

দেশের উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পটি ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৬ থেকে ২০২১ এর জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের নেতৃত্বে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট’ ডিগ্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু করেছেনÑ সেটি ব্যাংকারদের জন্য বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। উপযুক্ত শিক্ষা ছাড়া ব্যাংকারদের পক্ষে কিংবা এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব নয়।

অন্যদিকে বিআইডিএস ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে অর্থনীতিতে উচ্চ শিক্ষা প্রদানের প্রকল্প নিয়েছেন। তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী দিতে পারেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কৌশলী নেতৃত্ব প্রদানকারী শেখ হাসিনার দুর্বার ব্যবস্থাপনা গুণে। এক্ষেত্রে শিক্ষার বিস্তার ও মান উন্নয়ন অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এবং করবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ