ময়মনসিংহে চার ফসল চাষে সফলতা

জেলায় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ফসল নিবিড়িতা ও উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণে চার ফসল বিন্যাস কর্মসূচি কৃষকদের বেশ আগ্রহী করে তুলেছে। এতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় প্রতিনিয়তই নতুন করে চার ফসল আবাদে অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

জেলার ত্রিশালে সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ফসল নিবিড়িতা ও উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচি ও ময়মনসিংহ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কৃষকদের উত্সাহিত করতে কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস করে। ময়মনসিংহ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে চার ফসলের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেবা ও সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আক্কাস আলী, কৃষি সম্প্র্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলতাবুর রহমানসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

বক্তরা বলেন, উঁচুও নয়, নিচুও নয়, মাঝারি জমিতে চার ফসল চাষ খুব উপযোগী। তবে এ ক্ষেত্রে ভাল জাতের ধান, শাক-সবজি, বারি সরিষা-১৪সহ বিভিন্ন জাতের ফসল সমন্বয় করে আবাদ করতে হবে। চার ফসল করলে জমির কোনো ক্ষতি হয় না, জমির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। জমিতে আগাছা কম হয়। ধানের পর ডাল জাতীয় ফসল করলে সার কম লাগে। কৃষকরা একই জমিতে চারটি ফসল করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হয়। ত্রিশালে চার ফসল উত্পাদনকারী কৃষকদের উত্পাদন দেখে নতুন করে অনেক কৃষক এ পদ্ধতি গ্রহণ করার কথা এ প্রতিবেদককে জানান।

ময়মনসিংহ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সহিদুজ্জামান জানান, এ পদ্ধতির চাহিদা দিনদিনই বাড়ছে।

এ জেলায় তাদের প্রকল্পের আওতায় আট হেক্টর জমিকে দুই ফসল থেকে চার ফসলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলতাবুর রহমান জানান, এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। তাই নতুন এ প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষিবিদসহ কৃষকরা মনে করেন, সারা দেশে মাঝারি জমিতে চার ফসলে আওতায় আনতে পারলে খাদ্য উত্পাদন যেমন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।