বিদায়ী ২০১৬ সালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৬৩ ভাগ কমেছে। একই সময়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কমেছে ১৭ দশমিক ১৬ ভাগ।
সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব শামীম আলম দীপেন, সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, সাদেক হোসেন বাবুল, এস এম আজাদ হোসেন, লিটন এরশাদ, গনি মিয়া বাবুল, নাসিম রুমি, এ কে আজাদ, শেখ আবদুর রহমান, ফারিহা ফাতেহ, মিজানুর রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন, ওবায়দুর রহমান, আলাল উদ্দিন ও মিরাজুল মইন জয় প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় চার হাজার ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের বছর ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার তিন জন। সেই হিসাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০১৫ সালের চেয়ে ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যাও কমেছে।
এতে আরও বলা হয়, আগের বছরে দুর্ঘটনায় ছয় হাজার ১৯৭ জন আহত হলেও বিদায়ী ২০১৬ সালে আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২২৫ জন; যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।
এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘জনসচেতনতা বাড়ার কারণে ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে।’ সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছয়টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, স্থানীয় অঙ্গ সংগঠনগুলোর রিপোর্ট ও টিভি চ্যানেলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অশিক্ষিত চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জনগণের অসচেতনতা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, রাস্তার অপর্যাপ্ততা, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, আইন ও তার যথারীতি প্রয়োগের অভাবকে চিহ্নিত করা হয়।