বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী,
স্যার ফজলে হাসান আবেদ, তোয়াব খান, ড. আনিসুজ্জামানসহ ১২ গুণী পেলেন হুজ হু সম্মাননা। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হুজ হুর (হু ইজ হু) যাত্রা শুরু হলো।
‘হুজ হু’ ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুসরণীয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ ও পদক প্রদান করে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্মাননা পাওয়া গুণীজনদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। এ ছাড়া সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, শিক্ষাক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, কৃষিতে শাইখ সিরাজ, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সন্জীদা খাতুন ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ক্রীড়াক্ষেত্রে আকরাম হোসেন খান, শিল্প-বাণিজ্যে রহিমআফরোজ গ্রুপের পরিচালক নিয়াজ রহিম, উদ্যোক্তা হিসেবে এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ্দৌলা, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি বিভাগে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন সম্মাননা পেয়েছেন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও ‘হুজ হু বাংলাদেশ’-এর প্রধান উপদেষ্টা ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধান নির্বাহী নাজিনুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক এস এম আলতাফ হোসেন, পরিচালক রুখসানা রহমান, এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যাঁরা এই সম্মাননা পেয়েছেন এটি তাঁদের প্রাপ্য ছিল। সম্মাননাপ্রাপ্তরা আরো উৎসাহিত হবেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো বেশি অবদান রাখতে পারবেন।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন, প্রতিটি পুরস্কার আনন্দের। এ ধরনের পুরস্কার ভালো কাজ করার প্রেরণা জোগায়। যাঁরা সম্মাননা দেন তাঁরাও চান, যেন ভালো কাজ করি। এই পুরস্কার ভালো কাজের প্রেরণা জোগাবে।
শাইখ সিরাজ বলেন, ‘এই সম্মাননা পাওয়া খুবই গর্বের বিষয়। হুজ হু অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি নিজে এই পুরস্কারের মাধ্যমে উৎসাহী হয়েছি। ’