সারাদেশে দুই কোটি শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

দেশের ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে আজ। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের সংখ্যা ২৩ লাখ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের সংখ্যা ১ কোটি ৮৭ লাখ।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে ৬-১১ মাসের শিশুকে একটি করে নীল এবং ১২-৫৯ মাসের শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

দেশের ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর এই কর্মসূচি চলছে। এছাড়াও ২০ হাজার ভ্রম্যামাণ টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী ৪ দিন বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) পাঁচ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র খোলা থাকবে। এসব কেন্দ্রে ৭০ হাজার ৯০৪ জন ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৩ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও খেয়াঘাটে অবস্থান করছে। দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে প্রথম এ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তৎকালীন সময়ে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নামানো সম্ভব হয়েছে।