দিনাজপুরের বীরগঞ্জের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে কমলা, আপেল ও মাল্টা জাতীয় আমদানি করা এসব ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটু পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যাপক হারে চাষ করে আমদানি না করে দেশের বাজারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বীরগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নের আনাচে কানাচে বাড়ির উঠান ও পরিত্যক্ত জায়গায় চাষ করা সম্ভব। মাত্র একটি গাছে কমলা ফলিয়ে এলাকায় হৈ চৈ ফলে দিয়েছেন সাংবাদিক মোঃ আরমান আলীর পত্নী সাবিনা ইয়াছমিন হীরা। ৫ বছর আগে বাজার থেকে ক্রয় করা একটি বড় সাইজের কমলার বীজ থেকে গোজানো একটি চারা মাটিতে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রোপণ করেন।
পানি, সার, কীটনাশক সঠিক সময়ে প্রয়োগ করে গাছটিকে অতিযত্নে বড় করেন। গত দুই বছর পূর্বে ফাল্গুন চৈত্র মাসে গাছে ফুলের কুড়ি আসতে শুরু করে। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, গাছে ফুল ও ফল কিছুই থাকবে না। কিন্তু ক্রমে ক্রমে সেই ফুল থেকে ছোট ছোট ফল ধরতে শুরু করে। এসব ফল এক সময় বড় হতে হতে অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে পূর্ণাঙ্গ কমলার আসল রঙ ও সুস্বাদু ফলে পরিপূর্ণতা লাভ করে। বিষয়টি আসতে আসতে প্রচার হতে শুরু করে প্রথমে তাদের নিজ গ্রাম নওপাড়া ছাড়াও আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত গাছ ও ফল প্রত্যক্ষ করেছেন। সাংবাদিক পত্নী হীরা জানান, এলাকার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিৎ কুমার পালের পরামর্শে সঠিক সময়ে সার কীটনাশক ও অন্যান্য ঔষধ প্রয়োগ করে গাছটিতে কমলা ফলনো সম্ভব হয়েছে।
প্রথম বছর গাছটিতে ৮৬টি কমলা ধরেছিল। এ বছর (চলতি) শতাধিক ফলের সমারোহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটি গাছে নিজে খেয়েও আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকেও দেয়া সম্ভব হচ্ছে।বীরগঞ্জ পৌরশহরের কৃষিবিদ আব্দুল্লাহেল কাফী গাছটিতে কমলা দেখে মন্তব্য করেন, সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা, আপেল ইত্যাদি আমদানি করা ফল বীরগঞ্জে আনাচে কানাচে চাষ করা সম্ভব। তাই দেরি না করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ ও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।