উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ওমানের

দেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাতদ্রব্যসহ অন্যান্য উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওমান।

বুধবার দুপুরে মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করে ওমানের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান। ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিতে বর্তমান সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে। ওমানের বিনিয়োগকারীরা এখানে নিরাপদে বিনিয়োগ করতে পারে।

বৈঠকে ওমানের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওমান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ওসিসিআই) চেয়ারম্যান সৈয়দ সালেহ সায়েদ আল কাইয়ুমী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। এদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক মিল রয়েছে। আমরা এদেশে বিনিয়োগ করতে চাই।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ-ওমান চেম্বার গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, ফার্নিচার, হ্যান্ডিক্রাফটসহ অন্যান্য সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশের ফার্মাসিটিউক্যাল, পাট, পর্যটন, ফার্নিচার, আইসিটি, হ্যান্ডিক্রাফটসহ অন্যান্য সেক্টরের উদ্যোক্তারা বাণিজ্য প্রতিনিধি দলকে এসব সেক্টরে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ওমানে ১ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি এবং ৪ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দেশটির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে ওমানে পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার; বাণিজ্য ঘাটতি ৩ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশটিতে ২ কোটি ৯ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির বিপরীতে ৭ কোটি ১১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে; ঘাটতি ৫ কোটি ১ লাখ ডলার।

ওমানে বাংলাদেশ যে সব পণ্য রফতানি করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৃষিপণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, নীটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস, ফুটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুডস। এছাড়া প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য পণ্যও রফতানি হয় দেশটিতে।

ওমান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে প্লাস্টিক, রবার, বেস মেটাল এবং আর্টিকেল মেটাল, মিনারেল প্রোডাক্ট, লাইভ এ্যানিম্যালস, এ্যানিম্যালস প্রোডাক্ট, কেমিক্যাল, টেক্সটাইল আর্টিকেলসহ নানা ধরনের পণ্য।