বাউবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র হবে ‘পাখির অভয়াশ্রম’

চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি এলাকার চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা। ছায়াসুনিবিড় এই এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায় নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দ। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এ কেন্দ্রকে এখন পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সোমবার দুপুরে কেন্দ্র চত্বরে ‘পাখির অভয়াশ্রম কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় সহ-উপাচার্য খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। একটি মাটির পাত্রের ভেতর রাখা কোয়েল পাখিদের খাবার দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক বদরুল হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নির্বিচারে নিধন করায় পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। পাখি রক্ষার জন্য এ অভয়াশ্রম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্রের গাছগুলোর শাখায় পাখিদের থাকার জন্য মাটির হাঁড়ি রাখা হয়েছে। এসব হাঁড়িতে খাবার দেওয়া হবে। তিনি জানান, আঞ্চলিক কেন্দ্রে বিভিন্ন সময় ঘুঘু, শালিক, পায়রা, চড়ুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক বদরুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হায়াত হোসেন, বাউবির সরকারি সিটি কলেজের সমন্বয়কারী মহিবুল হক ও রাঙ্গুনিয়ার সমন্বয়কারী আবু ইউসুফ।

অনুষ্ঠানে বাউবির সহ-উপাচার্য খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, অনেক লোক বিকৃত আনন্দ চরিতার্থ করার জন্য পাখিদের খাঁচায় বন্দী করে রাখেন। এতে পাখিকে তিলে তিলে হত্যা করা হয়। আবার অনেকে পাখির মাংস খেতে পছন্দ করেন। এ মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এ বার্তা পৌঁছাতে হবে, পাখিকে হত্যা করা যাবে না। পাখিদের রক্ষা করা নাগরিক দায়িত্ব।