চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮৮২ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসের তুলনায় এবার এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪২৮ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার।
এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই বছরের প্রথম ৪ মাসে আয় হয়েছিল ৪১৭ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের মধ্যে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য খাতের রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে আয় হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০৭ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৪২৮ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য খাতের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় হাজার কোটি টাকা : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। একই সঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায়ও এই খাতের রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমেছে। অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে আয় হয়েছে ৬ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে সবজি রপ্তানিতে ২ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। তবে আগের অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে তামাকজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৯৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ কম। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় এই খাতের আয় ৫৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে।
