আরো সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হবে

বিশ্বের ৩৩টি দেশের ওপর ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দি পিউ রিসার্চ সেন্টার’ কর্তৃক ২০১৪ সালের শেষ প্রান্তে পরিচালিত জনমত জরিপে প্রশ্ন ছিল—আগামী পাঁচ বছরে আপনার জীবনমান কি আরো উন্নত হবে? যাদের উত্তর হ্যাঁ ছিল তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৮১ শতাংশ মানুষ হ্যাঁ উত্তর দেয়। পাঁচ-সাত বছর ধরে একটানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতি ও বাজার পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা ওই জরিপে মানুষকে হ্যাঁ-সূচক উত্তরে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে মনে করেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। আশাবাদী মানুষ দেশের সম্পদ। প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, গবেষক, নামিদামি জরিপকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের নেতারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের অগ্রগতিকে বিস্ময়কর ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। পদ্মা সেতুর প্রতিশ্রুত ঋণ ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক অজুহাতে বাতিল করায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের দৃশ্যমান টানাপড়েন ছিল। সেই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিম ইয়ং জিম কিছুদিন আগে ঢাকায় এসে একই রকম মন্তব্য করেছেন।

অনেক দুর্গম ও বন্ধুর পথ অতিক্রম করে ২০১৬ সালে এসে ঘরে-বাইরে বাংলাদেশ আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত এবং অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে আবির্ভূত। অগ্রগতির ধারা শুধু অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির স্থিতিশীল এবং ভূ-রাজনীতির সমীকরণে সব বৃহৎ ও সেমি বৃহৎ রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ এখন মূল্যবান হয়ে উঠেছে। এত সব কিছু এমনিতেই হয়ে যায়নি। পৃথিবীতে কোনো কিছুই এমনিতে আপনাআপনি হয়ে যায় না। বাংলাদেশের এই অর্জনের পেছনে সব শ্রেণিপেশার মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও উদ্যমের সঙ্গে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল, সাহসী ও প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব। নেলসন বাংলাদেশ ও ওয়াশিংটনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআরআই (ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট) যৌথভাবে ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর একটি জরিপ চালায়। জরিপের আওতাধীন মোট ৯টি সূচক ছিল, যার সবগুলো আওয়ামী লীগের স্কোর অন্য দলের থেকে অনেক বেশি। তার মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, তারুণ্যের উপস্থিতি এবং নারীবান্ধব—এই তিন সূচকে আওয়ামী লীগের স্কোর অন্যান্য দল থেকে দ্বিগুণেরও বেশি। বাঙালি ও বাংলাদেশের মানুষের প্রেরণা এবং শক্তির অফুরন্ত আধার বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে শেখ হাসিনা শুধু নিজে ধারণ করেননি, সেগুলোকে জাগ্রত করে সর্বত্র তার বিস্তার ঘটিয়েছেন। এটাই বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতির মূলমন্ত্র ও ম্যাজিক। উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এবং উন্নয়নের ভিত বা ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জাতীয় ইতিহাসের অনুপ্রেরণাদায়ী গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ও পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অব্যাহত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। এ কথার উদাহরণ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে রয়েছে। পঁচাত্তরের পরে ঘটে যাওয়া প্রলয়কাণ্ডের কারণেই বাংলাদেশের জন্য এ কথাটি আজ আরো বেশি প্রযোজ্য। ভারত আজ উদীয়মান বিশ্বশক্তি। এর মূল কারণ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল কংগ্রেস ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল এবং এই সময়ে একটানা ৩০ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু এবং তাঁর মেয়ে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মতো নেতৃত্বের হাতে। বাবা-মেয়ের অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কোচিত পাণ্ডিত্যের ছায়ায় ৩০ বছরে ভারতের রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য শক্তিশালী একটা ফাউন্ডেশন তৈরি হয়ে যায়। পরবর্তী সময় যাঁরা এসেছেন তাঁরা তৈরি ফাউন্ডেশনের ওপর সবাই কমবেশি গাঁথুনি দিয়ে সেটিকে উঁচু করার চেষ্টা করেছেন। কেউ ফাউন্ডেশন ভাঙতে চাননি। ভেবে দেখুন, এর ব্যত্যয় ঘটলে এবং স্বাধীনতা অর্জনের অল্প দিনের মাথায় জওহরলাল নেহরু ও কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যদি উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসত, তাহলে কি ভারতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আজ বর্তমান পর্যায়ে আসতে পারত?

স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা, বহুত্ববাদ ও গণতান্ত্রিক দর্শনকে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধী ভারতের জনমানুষের মনে এমনভাবে প্রোথিত করতে পেরেছেন যে ২০১৪ সালে এসে আরএসএসের মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির জোরে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও দেশের মানুষ ও বিশ্বদরবারে বিজেপি নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে বলতে হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতের মূল রক্ষাকবচ, সেটি অটুট ও অক্ষুণ্ন থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার দিকে তাকালেও একই উদাহরণ দেখা যায়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর অপার সম্ভাবনার সব উপাদান বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান আজ অতলগহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে শুধু ধর্মীয় উন্মাদনা ও সামরিক শাসনের কুফলের কারণে। বাংলাদেশের জন্যও সামরিক শাসনের লিগ্যাসি ও তার বদান্যতায় ধর্মীয় উন্মাদনা, সাম্প্রদায়িকতার জন্ম এবং তার বাড়বাড়ন্ত আজ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রধান শত্রু। এত দিনে এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কাছেই মানুষ প্রত্যাশা করে মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ও আদর্শের একমাত্র রাজনৈতিক অবলম্বন হিসেবে তারা রাজনৈতিকভাবেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজনের চির অবসান ঘটাবেন এবং অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দেবেন। এ লক্ষ্যে গত পাঁচ-সাত বছরের অর্জন কম নয়। এ পথযাত্রায় শত্রুরা একেবারে অপরিচিত নয়। তবে সম্মুখ শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করা যত সহজ, পেছনের এবং আশপাশে লুকিয়ে থাকা, অর্থাৎ ফ্ল্যাকিং শত্রুকে মোকাবিলা করা তত সহজ নয়। সবচেয়ে বড় ভয়ের জায়গা এখানে। নিজ বাড়ির লনের দূর্বাঘাসের নিচে সাপের বেড়ে ওঠা বুঝতে না পারলে তার পরিণতি হয় ভয়ংকর, প্রতিরোধের কোনো পথ থাকে না, সময়ও পাওয়া যায় না। আগামী দুই বছর এবং সামনের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হচ্ছে শত্রুদের পদচারণ। সব ফ্রন্টে সমানতালে সতর্ক না হলে যেকোনো একটি ছোট স্ফুলিঙ্গ লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুর্বল জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে তার প্রতিরোধক হিসেবে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা শুধু ঢাকায় নয়, দেশব্যাপী সর্বত্র আগে থেকে তৈরি ও সক্রিয় রাখা দরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সাম্প্রতিক ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও ছোট করে দেখলে বড় ভুল হয়ে যাবে।

যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম নেতৃত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শত্রুরা এখন শেখ হাসিনাকে বেশি ভয় পাচ্ছে। প্রথমত, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের সাংগঠনিক শক্তিকে সুসংহত করা, নেতৃত্বের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। সমস্যা হলো, গত পাঁচ-সাত বছরে দেশের উন্নয়নকে মানুষ মূল্যায়ন করছে সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাফল্য হিসেবে। একশ্রেণির মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং টাকার বিনিময়ে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ উঠছে প্রতিনিয়ত। আর ছাত্রলীগের দু-চারজনের অপকর্ম অনেক সময় সরকারের বিশাল সাফল্যগাথাকে মানুষের মুখ থেকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে বিধায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাফল্যকে দলীয় নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের মধ্য ও তৃণমূল পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রবেশ দেখে ইতিহাসের ট্রোজার্ন হর্সের ট্র্যাজেডির কথা মনে আসায় মানুষের কাছে অস্বস্তিকর বার্তা যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৫ বছরের অভিজ্ঞতায় বলে, একবার যে রাজাকার ও জামায়াত-শিবির হয়েছে, সে এবং তার বংশপরম্পরায় চিরদিন-চিরকাল রাজাকার-জামায়াত-শিবির থাকবে। বিপদে পড়লে বাইরের খোলস পাল্টানো জামায়াতের অতি পুরনো অভ্যাস ও কৌশল। শোনা যাচ্ছে, নতুনভাবে পুনর্গঠিত জামায়াত নাকি মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানাবে। মনে রাখতে হবে, ভূতের মুখে রাম নাম সব সময়ই অশুভ সংকেত দেয়। একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগী ও দালাল গমিরউদ্দিন প্রধানের ছেলে শফিউল আলম প্রধানের সত্তরের দশকের শুরুতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার ট্র্যাজেডি এখনো শুধু আওয়ামী লীগকে নয়, পুরো জাতিকে বহন করতে হচ্ছে।

সামনের শত্রু তো আছেই, ফ্ল্যাকিং ও পেছনের শত্রুরাও বসে নেই। এদের সঠিক স্বরূপ চেনা জনগণের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। এরা মূল পোশাকের ওপরে একটা নিরপেক্ষতার চাদর জড়িয়ে মানুষের সম্মুখে হাজির হয়। সুধীসমাজের একাংশ, পশ্চিমা বিশ্বের সাহায্য ও আশীর্বাদপুষ্ট কিছু বড় এনজিও এবং মিডিয়া গ্রুপ, যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তারা অতি সূক্ষ্মভাবে এমন সব কাজ করছে, যাতে যে ফ্যাক্টরের জন্য বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির সমীকরণে শেখ হাসিনার একটা শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন নষ্ট হয়ে যায়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সফরের সময় এবং সম্প্রতি আরো কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা মিডিয়া গ্রুপের চাতুর্য খেয়াল করলে সবাই আমার উপরোক্ত কথার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন। একই সঙ্গে অন্য ফ্রন্টে, অর্থাৎ পেছনের শত্রুদের কারসাজিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানো এবং হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা গেলে তাদের কাজ আরো সহজ হয়ে যায়। এটা করতে পারলেই তারা ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে, যে চেষ্টা তারা ২০১৪ সালে আরেকবার করে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নজর এখনো সেদিকেই আছে, অব্যাহতভাবে চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র, অর্থাৎ সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ভেতরে জামায়াত, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধতার প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে কিছু করা যায়নি বলে সেটি ভুলে গেলে চলবে না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর এদের স্বরূপ ছিল একরকম, এখন অন্য রকম। প্রশাসনের উল্লিখিত ওই শ্রেণিটি এখন ঘাপটি মেরে আছে। মোসাহেবি ও স্তাবকতা এবং অন্যান্য তদবিরের জোরে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। সব কালেই সংকটের সময় এদের ভয়ংকর রূপ মানুষ দেখেছে। যুগে যুগে তারা মহান বলেই ম্যাকিয়াভেলি তাঁর বিশ্বখ্যাত ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে রাষ্ট্রনায়কদের সতর্ক করেছেন এবং তাদের থেকে বাঁচার পথ বাতলে দিয়েছেন। আজ যাঁরা স্তাবকতার সুযোগে প্রাপ্তির ঢেকুর তুলছেন ও বঙ্গবন্ধুর বন্দনা করছেন, তাঁরা একটু সংকট দেখলেই যে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে ফেলবেন, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিহাসই তার সাক্ষী। নিরাপত্তার প্রশ্নে অন্ধবিশ্বাস ও আত্মীয়-পরিজনের বিবেচনা সব সময় বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বেলায় সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জিরো টলারেন্স সুরক্ষাবলয় সার্বক্ষণিক থাকতে হবে। সব দিকের সব কিছুর যোগ-বিয়োগের পর সামগ্রিক অবস্থান থেকে নির্মোহ মূল্যায়ন করলে তাঁর শত্রুকেও এ কথা স্বীকার করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পাঁচ-সাত বছরে কোনো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়নি; বরং সব ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাই গণতান্ত্রিকব্যবস্থায় অনেক কিছুতে দ্বিমত পোষণ ও কঠোর সমালোচনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে অ্যাট দ্য এন্ড (শেষে) এ কথা সবাইকে বলতে হবে, বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে বাঁচতে হবে এবং আরো কিছুকাল বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকতে হবে।