ব র্তমান সরকারের যে লক্ষ্য তা হলো আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে দাঁড়াবে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই যে প্রশ্ন আসে তা হলো এ দেশের প্রতিটি মানুষের মাথাপিছু আয় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রাখতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশকে দুভাবে ভাগ করা যায়ঃ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ন্যূনতম প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ন্যূনতম প্রায় ৪০০০ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ গড়ে মধ্যম আয়ের দেশের মাথাপিছু আয় ধরা যায় ২৫০০ মার্কিন ডলার। আমাদের এখন মাথাপিছু আয় বার্ষিক প্রায় ১২০০ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করতে হবে। এ কাজ এত সহজ নয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় মানব উন্নয়ন সূচক–Human Development Index (HDI) পরিমাপ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি দেশের HDI-এর সঙ্গে সে দেশের মাথাপিছু বিদ্যুত্ খরচের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যে দেশের মাথাপিছু বিদ্যুত্ ব্যবহারের পরিমাণ যত বেশি সে দেশের HDI তত বেশি অর্থাত্ অর্থনৈতিক উন্নতি তত বেশি। আর মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করতে হলে মাথাপিছু বিদ্যুত্ খরচের পরিমাপ হতে হবে ৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আমাদের এখন মাথাপিছু বিদ্যুত্ খরচ প্রায় ৩৭৫ কিলোওয়াট ঘণ্টা সে জন্যই বর্তমান সরকার ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা করেছে ২৪০০০ মেগাওয়াট অর্থাত্ বর্তমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আগামী মাত্র পাঁচ বছরে এই বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এত সহজ ব্যাপার নয়। দেশের প্রায় অর্ধেক বাজেটে নির্মাণকৃত ৩য় প্রজন্মের অত্যাধুনিক টেকনোলজির নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট থেকে ২০২২-২৩ সাল নাগাদ যে বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে তার পরিমাণ ২৪০০ মেগাওয়াট। অর্থাত্ আমাদের নির্ভর করতে হবে প্রধানত কয়লার ওপর। সারা পৃথিবীতেই অবশ্য এই প্রবণতা রয়েছে যদিও কয়লাকে পরিবেশ অবান্ধব জ্বালানি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমাদের বিদ্যুত্ উত্পাদনে এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে দেশের অভ্যন্তরীণ কয়লা উত্পাদনের প্রযুক্তি নিয়ে সকল বিতর্কের অবসান ঘটাতে হবে। এটাও বর্তমান সরকারের সামনে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সমুদ্র বিজয় এক বিশাল অর্জন। একদিন দেখা যাবে এই সমুদ্রেই বিশাল গ্যাসের ভাণ্ডার আবিষ্কার হয়েছে যা বিদ্যুত্ উত্পাদনে সহায়ক হবে। আমরা দেখেছি পদ্মা ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংককে কিভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে এগিয়ে গেলেন এবং আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। তেমনিভাবে বিদ্যুত্ তৈরির ব্যাপারে বর্তমান সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে গুরুত্ব দিয়েছেন, অতীতের কোনো সরকারই সে গুরুত্ব দেয়নি। অর্থাত্ বিদ্যুত্ উত্পাদনের ফলে HDI উন্নয়ন সূচক যে বাড়ে যা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চাবিকাঠি, এই জিনিসটিই উপলব্ধি করতে পারেনি আগের কোনো সরকার। এ প্রশংসার দাবিদার অবশ্যই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
এখন সরাসরি রামপাল বিদ্যুেকন্দ্র প্রসঙ্গে আসা যাক। এ বিদ্যুেকন্দ্রে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ তৈরির কথা। অর্থাত্ কম না। এ প্রজন্মের আধুনিক একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট যে পরিমাণ বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারে তার চেয়েও বেশি এবং আমাদের আগামী পাঁচ বছরেই মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে দাঁড়াতে হলে এরূপ আরো অনেকগুলো পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করতে হবে। কিন্তু একটিতেই যদি এত বিতর্ক সামাল দিতে হয় তখন সরকার হয়তো নিরুত্সাহিত হয়ে যেতে পারে। এ কথা অনিস্বীকার্য যে একটি দেশের দ্রুত উন্নয়নের পিছনে শিল্প বিপ্লব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই শিল্প বিপ্লব হলে পরিবেশ কিছুটা বিপর্যয় হবেই এবং সে কথা মাথায় রেখেই সারা পৃথিবীতে শিল্প বিপ্লব হয়েছে। সভ্যতার ক্রম বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হাতেই পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পল ক্রটছেন-এর গবেষণাতেও সেটি ফুটে উঠেছে। আজ সারা বিশ্বে বৈশ্বিক উষ্ণতা-কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একটু ভাবুন তো সেই মহাবিপর্যয়ের জন্য দায়ী কোন দেশ? যারা সবচেয়ে উন্নত। যারা সবচেয়ে ধনী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বা আগামীতে পাবে তারাই এর জন্য দায়ী। খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের মতন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। সুতরাং আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আমাদের দেশকে এখনই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাব নাকি পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে কয়লার মতন কালো সোনার খনি আমাদের জাতীয় সম্পদকে মাটির নিচেই রেখে দিব? বা পরিবেশ দূষণের ভয়ে পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা সংক্রান্ত পলিসি থেকে পিছিয়ে আসব। আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য dynamic and honest leadership এর বিকল্প নেই। বর্তমানে আমাদের দেশের উন্নয়নের গতি যে ধারায় এগোচ্ছে সে হিসেবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা ২০২১ সাল নাগাদ যদি সম্ভব নাও হয় তবে ২০২৫ সালের মধ্যে অবশ্যই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। এই বিশাল কৃতিত্বের দাবিদার হবে জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-এ দেশ একদিন সোনার বাংলায় পরিণত হবে। সে দিন বেশি দূরে নয়।
কয়লা কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, সালফার ইত্যাদির সংমিশ্রণে একটি জটিল ফসিল ফুয়েল। কয়লাকে পোড়ালে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, অক্সাইড অব সালফার এবং নাইট্রোজেন এবং তার সঙ্গে ক্ষুদ্র পার্টিকেলস ফ্লু গ্যাসের সঙ্গে পরিবেশে ছড়াতে পারে। কিন্তু আধুনিক পাওয়ার প্লান্টে এসবের প্রায় ৯০% ই ফিল্টার করা সম্ভব।
রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হবে তা যদিও একটি হিসেবে দেখানো হয়েছে যে সুন্দরবনের সক্ষমতা রয়েছে তা absorb এবং sequester করা। কিন্তু অন্যান্য উত্সসমূহের বিবেচনায় নিলে সেটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এর সমাধান হতে পারেঃ অত্যাধুনিক কার্বন ক্যাপচার স্টোরেজ CCS প্রযুক্তির ব্যবহার। আমাদের দেশের যেসব গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উঠানো শেষ হয়ে গেছে সেখানে সহজেই ধারণকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড স্টোর করা যেতে পারে এবং এর ফলে অবশিষ্ট গ্যাস (residual gas) উত্পাদনও সহজ হবে। এবং এ প্রক্রিয়ায় গেলে ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (CDM) প্রজেক্ট হিসেবে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড থেকেও সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ক্যাপচারকৃত কার্বনকে বিভিন্ন কেমিক্যালস তৈরিতে ব্যবহার করা যায় যেমন সোডা এ্যাশ তৈরিতে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর একজন গবেষক হয়ে এবং পৃথিবীর বহু দেশে যেমন: চিন, রাশিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস্, সুইজারল্যান্ডে জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই আলোকে আমার মত হলো:
এখন সময় এসেছে আমাদেরকে বীরের জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এনার্জির কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার এই সেক্টরকে যেভাবে মূল্যায়ন করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দলমত নির্বিশেষে এই অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানানো উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা ষাটের দশকের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না। আসলেই আমাদেরকে এখন তৃতীয় প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যেখানে নিঃসরিত গ্যাসের পরিমাণ সর্বনিম্নে থাকবে এবং পরিবেশের জন্য তেমন ক্ষতির কারণ হবে না। আমি এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আরো যে পাওয়ার প্লান্টগুলো নির্মিত হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে গত ৪-৫ বছরে যে নতুন প্রযুক্তি এই সেক্টরে ব্যবহূত হয়েছে সেগুলোরই যেন প্রয়োগ হয় সে ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাব। যেমন ফোসটার হুইলের সার্কুলেটিং ফ্লুইডাইজড বেড টেকনোলজি যা কিনা সুপারক্রিটিক্যাল এবং আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কম্বাসশন এর সংযোজন।
সুপারক্রিটিক্যাল এবং আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে দক্ষতা প্রায় ৪৫% পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে। আরো গবেষণা চলছে যেখানে দক্ষতা ৫০% এমনকি ৫৫% পর্যন্ত সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন। বর্তমানে অধিকাংশ থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের দক্ষতা (যেখানে কয়লাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে) ৩৫% এর বেশি নয়। ১% দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রায় ২.৭% কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমে। সুতরাং দক্ষতা বাড়ালে কার্বন ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের নিঃসরণ কমে এবং একই পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুত্ উত্পাদনের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
একইসঙ্গে রামপাল বিদ্যুত্ প্রকল্প নির্মাণে আমাদেরকে পরিবেশের ওপর বিশেষ করে সুন্দরবনের ওপর যে সকল সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।
উপরন্তু রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ফলে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে সকল যন্ত্রপাতির সংযোজন থাকা একান্ত প্রয়োজন এবং প্রয়োজনীয় যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক তা হলো: ১। নির্গত গ্যাস থেকে ক্ষুদ্র পার্টিকেলস সরানোর জন্য ইলেকট্রস্টাটিক প্রিসিপিটেটরস ESP ও ফ্যাবরিক ফিল্টার এর ব্যবহার। ২। সালফার সরানোর জন্য ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজেশন ইউনিট (FGD) থাকতে হবে। ৩। অক্সাইডস অব নাইট্রোজেন সরানোর জন্য SCR এবং Low-NOx বার্নার এর ব্যবহার। ৪। পারদ: কয়লায় পারদের পরিমাণ সাধারণত ০.৫ মি.গ্রা./কি.গ্রাম.। পারদ Volatile এবং ফ্লু গ্যাসের সঙ্গে পরিবেশে HgO, HgCl2 হিসেবে থাকতে পারে। SCR এর ব্যবহারের ফলে অধিকাংশ পারদ পরিবেশে ছড়াতে পারবে না। ৫। পার্শ্ববর্তী জলাধারে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে উষ্ণ পানির নির্গমন করতে হবে। ৬। কয়লা পোড়ানোর পর এ্যাশকে যত দ্রুত সম্ভব কাজে লাগানো যেমন: সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৭। বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে আরো অন্তত পাঁচ কি:মি: উত্তরে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা তার সমীক্ষা। একান্ত না হলে উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায়, অত্যাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহারে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা না। ৮। কয়লা আমদানিতে মানসম্পন্ন কয়লা যেন আমদানি করা হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে এবং ঠিকমত মনিটরিং করতে হবে। ৯। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের সময় পরিবেশের ওপর এর প্রভাব যাতে সর্বনিম্ন হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। ১০। পাওয়ার প্ল্যান্টের চারপাশে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। ১১। রামপালের আশেপাশে কোনো ক্রমেই রেড বা অরেঞ্জ ক্যাটাগরির আর কোনো শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার ছাড়পত্র যেন পরিবেশ অধিদপ্তর না দেয় সে ব্যাপারে সরকারকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
বর্তমানে যে উন্নয়নের ধারা সেটি অব্যাহত থাকলে, দেশের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকলে এবং আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে বাংলাদেশে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশের উন্নতি হবেই। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে-সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে, সেদিন বেশি দূরে নয় আমরাও তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারব। “আমার সোনার বাংলা”- এটি শুধু গান নয়, এটিই বাস্তব।