বাংলাদেশ ঘিরে বিশ্বরাজনীতির নতুন মেরুকরণ!

বিশ্বব্যাংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক হাতিয়ার—এ কথা সবার কাছেই ওপেন সিক্রেট। জিম ইয়ং কিম, বিশ্বব্যাংকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ১৭ অক্টোবর বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালনের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন এবং বলেছেন দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিস্ময়কর, অভাবনীয় এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত ২ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক তাদের আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রতিবেদনে একই কথা বলেছে। অথচ মাত্র সাড়ে চার বছর আগে নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি পূর্বসূরির পদাঙ্ক অনুসরণ করে সম্পূর্ণ অদৃশ্য ও অসমর্থিত দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু নির্মাণে তাদের প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিলের চূড়ান্তপত্রে সই করেছিলেন। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে পদ্মা সেতুর মতোই মিসরের আসওয়ান বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুত ঋণচুক্তি বিশ্বব্যাংক বাতিল করেছিল শুধু যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে। কিন্তু ১৯৭৩ সালে ইসরায়েলের ইনভিন্সিবল বা দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা বাঁধ বারলেভ লাইন মিসরের সেনাবাহিনী ভেঙে যখন সম্পূর্ণ সিনাই উপত্যকা পুনর্দখল করে নিল, তখন যুক্তরাষ্ট্রের টনক নড়ে এবং আবার মিসরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। তার পরের ইতিহাস সবাই জানেন, ক্যাম্পডেভিড শান্তিচুক্তির ধারাবাহিকতায় মিসর এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের এ সময় আগমন আরেকটি কারণে আমার কাছে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বলে মনে হয়, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের প্রেসিডেন্ট মাত্র এক দিন আগে বাংলাদেশ সফর করেন এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে স্ট্র্যাটেজিক স্তরে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সফর এবং শিশু পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে ১০০ কোটি ডলার এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আরো ২০০ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেখে আমার বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ রচনা কমলাকান্তের দপ্তরের কয়েকটি অসাধারণ উক্তির কথা মনে পড়ে। ওই উপন্যাসের সাঁইত্রিশ পৃষ্ঠায় মনুষ্য চরিত্রের প্রতীকী হিসেবে নসীবাবু জমিদারের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে কমলাকান্তের মুখে বঙ্কিম বলেছেন, ‘যখন নসীবাবুর তালুকের খাজনা আসে, তখন মানুষ কোকিলে তাঁহার গৃহকুঞ্জ পুরিয়ে যায়। তাঁহার বাড়িতে নাচ, গান, যাত্রা পর্ব উপস্থিত হয়, তখন দলে দলে মানুষ কোকিল আসিয়া তাঁহার ঘরবাড়ি আঁধার করিয়া তোলে। কেহ খায়, কেহ হাসে, কেহ কাশে। আর যে রাত্রে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হইতেছিল, আর নসীবাবুর পুত্রটির অকালে মৃত্যু হইল, তখন তিনি একটি লোক পাইলেন না।’ বঙ্কিমের প্রতীকী এই মনুষ্য চরিত্রের মূল্যায়নের সঙ্গে পুঁজিবাদী, ভোগবাদী বিশ্বব্যবস্থার চরিত্রের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তাই একটি রাষ্ট্র যখন নিজস্ব শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠে, গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি হয়, তখন বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতা মেরুকরণের দ্বন্দ্বে ওই রাষ্ট্রকে নিজেদের বলয়ের ভেতরে রাখার জন্য উদারহস্তে এগিয়ে আসে। তবে এটা বাস্তব যে ভূ-রাজনীতির সমীকরণে নিজ পক্ষের পাল্লা ভারী করার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সব সময় প্রতিযোগিতা ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই প্রতিযোগিতা ও বিশ্বরাজনীতির নতুন মেরুকরণে বাংলাদেশের অবস্থান ও গুরুত্ব আজকের লেখায় সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরব। তবে তার আগে সবার জানা থাকা সত্ত্বেও প্রসঙ্গের ছন্দ রক্ষায় ২০১৬ সালে এসে বাংলাদেশের জাতীয় সামর্থ্যের কথাগুলো একটু উল্লেখ করা প্রয়োজন। পাঁচ-সাত বছর ধরে বাংলাদেশের অগ্রগতির মোমেন্টাম বা গতিমাত্রা বিশ্বের প্রায় দুই শত রাষ্ট্রের মধ্যে তিন থেকে চারটি রাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে। ২০০৫ সালে হতদরিদ্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮ শতাংশের অধিক, সেটি ২০১৬ সালে এসে মাত্র ১২.৯ শতাংশ। বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তা বাস্তব কিন্তু বিস্ময়কর। সব সামাজিক সূচকে ভারতসহ বহু দেশকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম। পরিসংখ্যান প্রতিনিয়ত মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে বিধায় তার সব কিছু এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বের নামিদামি গবেষণা ও জরিপকারী সংস্থার মূল্যায়নে বাংলাদেশ এখন সঠিক পথে প্রশস্ত সড়কে ওঠে গেছে। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে মধ্যম ও ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের জন্য এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব। ভারতের প্রয়াত পণ্ডিত ও রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম তাঁর সাড়াজাগানিয়া তিন লাখের অধিক কপি বিক্রীত রচনা ‘ইগনাইটেড মাইন্ডস’ গ্রন্থের ১৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, একটি রাষ্ট্রের অগ্রায়ণের ভবিষ্যৎ পাঁচটি সেক্টরের সক্ষমতা ও সম্ভাবনার অবস্থা মূল্যায়ন করে বোঝা যায়। এগুলো হলো—কৃষি ও খাদ্য, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্ট্র্যাটেজিক সেক্টর। উল্লিখিত পাঁচটি সেক্টরেই বাংলাদেশ গত পাঁচ-সাত বছরে যে জায়গায় এসেছে, তাতে সেগুলোর অগ্রায়ণের গতিমাত্রা, সক্ষমতা ও সম্ভাবনা আজ আকর্ষণীয় জায়গায় এসেছে বলেই বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। এর পেছনে ১৬ কোটি জনসংখ্যার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের সঙ্গে গত সাত বছরে যার নেতৃত্বে দেশ একটি জায়গায়ও পেছনে যায়নি, শুধুই এগিয়েছে, বিস্ময়করভাবে এগিয়েছে, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ দল ও সরকারের অনেক কথা ও কাজ নিয়ে হয়তো কঠিন সমালোচনা থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেটি অস্বাভাবিক নয়। তবে শেষ বিচারে-End Justify The means. বাংলাদেশ আজ মর্যাদার জায়গায় এসেছে, সব বৃহৎ শক্তির আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে বিধায় বিশ্ব অঙ্গনে আজ শেখ হাসিনার বিশাল গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। আর সে কারণেই তিনি পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত শক্তিধর দেশগুলোকে একই সময়ে বাংলাদেশের প্রতি ভীষণ আগ্রহী ও কাছে টানতে পেরেছেন, যা এককথায় অভূতপূর্ব এবং দেশের জন্য বিরাট সাফল্য। বিদ্যমান পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতার মধ্যে যেসব রাজনৈতিক নেতৃত্ব দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অবদান রাখতে পারেন, তাঁরাই ইতিহাস সৃষ্টি করেন এবং নতুন মাইলফলক স্থাপন করেন, যে পথের নিশানা ধরে দেশের মানুষ ও রাষ্ট্র স্বাচ্ছন্দ্যে প্রশস্ত সড়কে চলতে পারে।

নেতৃত্ব সীমা লঙ্ঘন করলে যেমন পতনের আশঙ্কা জাগে, তেমনি প্রয়োজনীয় সাহস দেখাতে অক্ষম হলে সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ে। নেতৃত্বের জন্য জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও উপলব্ধি দেশের জন্য বিশাল সম্পদ। বাংলাদেশের শক্তির মূল শিকড় বাঙালি সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দর্শনকে শেখ হাসিনা আঁকড়ে ধরেছেন, জাগ্রত করেছেন—এটাই বাংলাদেশের উত্থান ও সক্ষমতা অর্জনের মূল ম্যাজিক, অন্য কোনো জাদুমন্ত্র নেই। তিনি রাজনীতিতে তাঁর বাবার মতো সাহস দেখিয়েছেন। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় নিজের জীবন ও রাজনীতির ওপর বাজি ধরেছেন। বাজিতে জয়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলায় বাংলাদেশ হেরে গেলে কী হতে পারত, তা একবার ভাবলেই বোঝা যায় শেখ হাসিনা কত বড় ক্যালকুলেটিভ ঝুঁকি (গ্যাম্বল বা জুয়ার বাজি নয়) নিতে পারেন। রাষ্ট্রের সক্ষমতা, নেতৃত্বের দূরদৃষ্টি ও সাহসের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে শক্তিধর রাষ্ট্রের ক্ষমতাবলয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মেরুকরণের কেন্দ্রবিন্দুতে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ—এমন সম্ভাবনার দুয়ারে আমরা এখন দণ্ডায়মান। বঙ্গোপসাগর হয়ে ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি এখন মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রতি। কিন্তু ভারতসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারের প্রতি টেকসই আস্থা স্থাপন করতে পারছে না। কারণ অল্প কিছু দিন আগে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করলেও দীর্ঘমেয়াদি সামরিক শাসনের লিগ্যাসির ধারায় মিয়ানমারের সব কিছু এখনো সেনাপতিদের কবজায়। সুতরাং সবার দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। তাই এতদঞ্চলের দেশগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বী বৃহৎ শক্তিগুলোর কৌশলে আগামী দিনে বাংলাদেশকে ঘিরে নতুন মেরুকরণের একটা পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর ভবিষ্যৎ রূপরেখা কেমন হবে এবং তাতে বাংলাদেশ নিজের স্বার্থ কতখানি রক্ষা করতে পারবে এবং লাভবান হবে, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। সেখানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ফ্যাক্টর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নেতৃত্বের বিজ্ঞতায় এখন যে রকম একটা ভারসাম্য বজায় রয়েছে, সেটি অব্যাহত থাকলে পার্ল অব ইন্ডিয়ান ওশান স্টেটের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে প্রতিযোগিতার প্রধান খেলোয়াড় চীন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলেও এখানকার সব কিছুতেই রাশিয়ার সরব উপস্থিতি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভারত ক্রমান্বয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে—এমন বাস্তবতা দৃশ্যমান হলেও সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্ত ঘিরে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে রাশিয়া স্পষ্টভাবে বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গেই আছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ ও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের সময় ১০০ কোটি ডলারের সামরিক অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন স্ট্যাটেজিক পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক নীতিতে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চীন-ভারতের সঙ্গে বার্গেইনিংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে যুক্তরাষ্ট্র যতখানি সুবিধা পেতে পারে, অন্য কোনো দেশ থেকে তা পাবে না। এবার ভারতের কথায় আসি। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যে প্রদেশগুলো রয়েছে তার সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের অখণ্ডতা, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আত্মিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক কারণে ভারতের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্রতিবেশী হলো বাংলাদেশ। সুতরাং ভৌগোলিক অবস্থান, গত পাঁচ-সাত বছরের একনাগাড়ে বিস্ময়কর উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা অর্জনের সঙ্গে নেতৃত্বের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার প্রেক্ষাপটে আগামীতে বিশ্বরাজনীতির নতুন মেরুকরণে বাংলাদেশ কোথায় থাকবে, তা দেখার জন্য হয়তো আরো কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বিশ্বের শক্তিধর সব দেশই আগামীতে নিজের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক