সন্ত্রাসীদের মদদদাতা দেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বিমসটেক

ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের তাগিদ দিয়েছেন।
আউটরিচ সম্মেলনের এই আলোচনার মতো ব্রিকসের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায়ও সন্ত্রাসবাদকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে মন্তব্য করা হয়। বিমসটেক নেতারা একমত হন যে, শান্তি ও আমাদের অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই অঞ্চলে সামপ্রতিক বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ শুধুমাত্র অব্যাহত এবং সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসী সংগঠন ও নেটওয়ার্ক ধ্বংস করাই নয় বরং যেসব রাষ্ট্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদের চিহ্নিত করা, যারা সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করে যে দেশগুলো তাদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর অবস্থান’ নেবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিমসটেক নেতারা।
সম্মেলনে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে আমাদের এক হতে হবে। বাংলাদেশের আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। সন্ত্রাসের দীক্ষাদানকারী, মদতদাতা, পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীদের এবং প্রশিক্ষকদের খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূল করতে বিসমটেকের মধ্যে থেকে সহযোগিতা জোরদার করা যাবে বলেও দৃঢ় আশার কথা জানান শেখ হাসিনা। বিমসটেক রিট্রিটের পর ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনেও শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আবার এক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূলে আমাদের সকলের হাতকে একত্রিত করতে হবে।