বাংলাদেশের উত্থান এখন আর কল্পকাহিনী নয়

বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের ওপর। দুই দিনের সফর শেষে গতকাল শনিবারই ঢাকা ছেড়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। এবার আসছেন বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। উন্নয়নের বার্তা নিয়ে তিন দিনের সফরে আজ রবিবার ঢাকায় আসবেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট তাঁর সফরে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রধানের কণ্ঠেও থাকবে সেই একই বার্তা। বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে আসছেন তিনি।

সফরকালে দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত জিম ইয়ং কিম বিশ্ববাসীকে শোনাবেন বাংলাদেশের দারিদ্র্য জয়ের গল্প। দারিদ্র্যকে কিভাবে জয় করতে হয়, বাংলাদেশের কাছ থেকে সেই কৌশল শিখতে বিশ্বের অনুন্নত দেশের প্রতি পরামর্শ থাকবে তাঁর। গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক যে উন্নয়ন হয়েছে, তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে দেখবেন তিনি। পদ্মা সেতু নিয়ে ২০১১ সালে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের যে দূরত্ব ও সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, জিম ইয়ং কিমের সফরের মাধ্যমে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা পুরোপুরি মুছে যাবে বলে আশা করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এ সফরের মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা।

পদ্মা সেতু নিয়ে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের পর এটিই হবে সংস্থাটির কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। চীনের প্রেসিডেন্টের পরপরই প্রভাবশালী সংস্থা বিশ্বব্যাংকের প্রধানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে অভিমত নীতিনির্ধারকদের।

জিম ইয়ং কিমের কণ্ঠেও একই সুর। বাংলাদেশে আসার আগের দিন গতকাল বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাংলাদেশে যাওয়ার; যে দেশটি এক দশকে দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাদের এ কৌশল অন্য দেশগুলো অনুসরণ করতে পারে।’ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার জানার খুব আগ্রহ যে বিনিয়োগ ও শাসনব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বব্যাংক কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে।’ বাংলাদেশের অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় আরো কাজ করার সুযোগ আছে বলেও অভিমত তাঁর।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৭ সালে সর্বশেষ ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক। এরপর গত আট বছর সংস্থাটির কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসেননি। আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবসের অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে এবার সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর এ দিবস পালন কমর থাকে। দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য দেখিয়েছে এমন একটি দেশকে প্রতিবছর প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে সেই দেশে দিবসটির মূল অনুষ্ঠান করে থাকে বিশ্বব্যাংক। দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবার বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগেরবার মূল অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল আফ্রিকার দেশ ঘানায়।

আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখবেন জিম ইয়ং কিম, উঠবেন রেডিসন হোটেলে। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার। সফরকালে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগামীকাল সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বক্তব্য দেবেন তিনি। বাংলাদেশ কিভাবে গত এক দশকে দারিদ্র্যের হার অর্ধেকেরও নিচে নামিয়ে এনেছে, বক্তব্যের বড় একটি অংশজুড়ে থাকবে সেসব কথা। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন দেখতে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রাম দেখতে যাবেন তিনি। যেখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের এ সফরকে গুরুত্ব সহকারেই দেখছে সরকার। কারণ মধ্যম আয়ের দেশে যেতে সরকারের আরো বেশি অর্থ দরকার। আর তাতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আরো বেশি করে সহায়তা আশা করছে সরকার। অবশ্য সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর আভাস দিয়েছে গত অর্থবছর থেকেই। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র বলছে, আগের অর্থবছরগুলোতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় নাম—এত দিন সরকারের নীতিনির্ধারকদের মুখ থেকে কথাটি শোনা গেলেও গত ২ অক্টোবর এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলেছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। সংস্থাটি বলেছে, সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে অতিদারিদ্র্যের হার কমে ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। সংখ্যায় হিসাব করলে অতিদারিদ্র্যের এ সংখ্যা দাঁড়ায় দুই কোটি ৮০ হাজারে। ২০০৫ সালে এ হার ছিল ৪৩.৩ শতাংশ। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি-পিপিপি) অতিদারিদ্র্যের হার পরিমাপ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে এখন ১২.৯ শতাংশ মানুষ অতিদরিদ্র; যাদের দৈনিক আয় ১.৯০ ডলারের কম। এক ডলারে ৭৮ টাকা ধরে হিসাব করলে বলা যায়, দিনে ১৪৮ টাকার কম আয় করে তারা। ২ অক্টোবর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, অতিদারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের অর্জন অবিস্মরণীয়। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের মতো দেশকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। দ্রুতগতিতে দারিদ্র্যের হার নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি দেখিয়েছে। জিম ইয়ং কিম তাঁর বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরবেন বিশ্বের সামনে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য জয়ের এ চিত্র শহরে না যতটা, তার চেয়ে বেশি গ্রামগঞ্জে। একসময় গ্রামের যেসব বাড়িতে ছিল কুঁড়েঘর, এখন সেখানে পাকাঘর। বাঁশের সাঁকো এখন নেই বললেই চলে। অনেক গ্রামে পৌঁছে গেছে পাকা সড়ক। দূরদূরান্তের গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ না থাকলেও সৌরবিদ্যুতের আলো দূর করেছে সেখানকার অন্ধকার। গ্রামের গরিব মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সরকারের ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর রয়েছে নানা কর্মসূচি। এককালে ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসে বিপুল প্রাণহানি ঘটলেও এখন তা কমানো সম্ভব হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার মাধ্যমে। আর এসব প্রকল্প ও কর্মসূচিতে সরাসরি অর্থায়ন করে অংশগ্রহণ কমরছে বিশ্বব্যাংক। জিম ইয়ং কিম তাঁর সফরকালে গ্রামে গিয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য জয়ের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন তাদের মুখ থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র বলছে, আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন জিম ইয়ং কিম। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট একজন নীতিনির্ধারক কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সাধারণত প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় কৌশল নিয়ে। বাংলাদেশ যেহেতু সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, সেই কৌশল বাস্তবায়নে সংস্থাটির কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী এখন চলছে ১৫ বছর মেয়াদি (২০১৬-৩০) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)। এসডিজির যে ১৭টি অভীষ্ট ও ১৬৯টি লক্ষ্য রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নেও ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংক যাতে বিনিয়োগ করে সেই আহ্বান থাকবে সরকারের পক্ষ থেকে। আগামীকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘প্যানেল লেকচার’-এ অংশ নেবেন জিম ইয়ং কিম। সেই আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার, বাংলাদেশের মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আসছেন বাংলাদেশকে ‘শো-কেস’ করতে। গত এক দশকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে যে সাফল্য পেয়েছে, তা তিনি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন। মাথাপিছু জাতীয় আয়ের দিকে ভারত থেকে পিছিয়ে থাকলেও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক আগেই ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, প্রাথমিক শিক্ষাসহ সামাজিক সূচকগুলোতে এরই মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। জিম ইয়ং কিম দারিদ্র্যের হার কমাসহ সামাজিক সূচকের সাফল্যের কথাও তুলে ধরবেন।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হলেও সেটিকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে চায় বিশ্বব্যাংক। তার অংশ হিসেবে প্রতিবছরই বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাড়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা যে ভুল ছিল সে বিষয়ে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশের অর্জনের কথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন জিম ইয়ং কিম। এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে নতুন বার্তা পৌঁছাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে, যাতে উল্লেখ থাকবে গত এক দশকে বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন দর্শনের বার্তা নিয়ে আসছেন জিম ইয়ং কিম। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংও করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এ ধরনের ইতিবাচক বক্তব্য এলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের সামনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বাংলাদেশ।

সূত্র বলছে, বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে জিম ইয়ং কিম নিজেই অভিভূত। তাই সরেজমিন বাংলাদেশ সফর করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর আগ্রহেই উপলক্ষ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবসকে।

জিম ইয়ং কিম ২০১২ সালের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সংস্থাটির পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম সফরে এসেছিলেন রবার্ট ম্যাকনামারা। আর সর্বশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে এসেছিলেন রবার্ট জোয়েলিক। সফর শেষে আগামী মঙ্গলবার জিম ইয়ং কিমের ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।