ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত–পাকিস্তানের চেয়ে যেখানে এগিয়ে বাংলাদেশ

ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে দক্ষিণ এশিয়ার দুই বড় দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০১৬-তে এ তথ্য পাওয়া যায়। গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফ্রি)।

২০১৬ সালের প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও মারাত্মক ক্ষুধার ঝুঁকিতে আছে। এখানকার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু খর্বকায়।
১১৮টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০। বাংলাদেশের সূচক ২৭ দশমিক ১। আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আগে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (৮৪), মিয়ানমার (৭৫), নেপাল (৭২) ও চীন (২৭)। সূচকে ভারতের অবস্থান ৯৭ এবং পাকিস্তানের ১০৭।
ভারতে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে আর পাকিস্তানে ২২ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ভারতে খর্বকায় ৩৬ দশমিক ৪ এবং পাকিস্তানে ৩৮ দশমিক ৭।
ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূরীকরণ সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের জিএইচআই স্কোর ৫–এর কম। অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা দশমিক ২ শতাংশ। আর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮ দশমিক ১ শতাংশ শিশু খর্বকায়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর গড় জিএইচআই স্কোর ২১ দশমিক ৩ হলেও ব্রাজিল, চিলি, ক্রোয়েশিয়ার মতো ১৬টি দেশ খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে, যাদের স্কোর ৫–এর কম।