মাউশিতে শুদ্ধি অভিযান

মাউশিকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তালিকা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদের আমলনামা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে ইতোমধ্যে আট কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। শিক্ষা ভবনে বিরাজ করছে বদলি আতঙ্ক। দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিতাড়িত করে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী শিক্ষা ভবনে শিক্ষকবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি মাউশি থেকে দুর্নীতি, ঘুষপ্রীতি ও শিক্ষক হয়রানির লাগাম টানার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাউশির সমন্বয়হীনতার কারণে গত কয়েক বছরে দুই পক্ষ থেকেই বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তারা একচেটিয়া পদায়ন পায়। এতে সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতি কমেনি। শিক্ষক হয়রানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষামন্ত্রীকে। আবার অতীতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন_ এমন যুক্তিতে কয়েকজন কর্মকর্তা সম্প্রতি মাউশিতে পদায়ন পেলেও তাদের দু’একজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নানা অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদকে বলেন, ‘দুর্নীতি, শিক্ষক হয়রানি ও ঘুষপ্রীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আসবে, তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কাউকে রেহাই দেয়া হবে না।’
বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট মাউশির আট প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এই বদলির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আটজন নয়, আরও বদলি হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে সবাইকে বদলি করার কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা সৎ অফিসার খুঁজছি, যারা মাউশির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের জন্য যোগ্য হবেন। কারণ আমি চাই শিক্ষা ভবন হবে সারাদেশের শিক্ষকদের অফিস।’
গত ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী মাউশি (শিক্ষা ভবন) পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, এমপিওভুক্তি, নিয়োগ-বদলি, বিষয় খোলা, প্রকল্প অনুমোদন, উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের নামে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য মস্নান হবে, এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না।’
শিক্ষা ভবন নামে পরিচিত মাউশি সারাদেশের প্রায় ৩৬ হাজার সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতা ও এমপিও প্রদান করে থাকে। এছাড়াও শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি, পদায়ন, শূন্যপদে নতুন এমপিওভুক্তি, শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নও হয় মাউশির অধীনে। এজন্য সারাদেশের শিক্ষকদেরই এখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতে হয়।
শিক্ষা ভবনে মাউশি ছাড়াও শিক্ষা মানোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প, ডিআইএ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পেও প্রায়ই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তবে প্রকল্প, ডিআইএ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাউশির কিছু পদে সংস্থার প্রধানের (মহাপরিচালক) ইচ্ছে অনুযায়ী কর্মকর্তা পদায়ন দিয়ে থাকে মন্ত্রণালয়।
এদিকে মাউশির বহুল আলোচিত কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়েছে। অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে তিন বছর পর বাতিল করা প্রায় দুই হাজার কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। একসঙ্গে নয়, পর্যায়ক্রমে এই লিখিত পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের তদবিরে পদায়ন পাওয়া ওই নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সংস্থার দুই উপ-পরিচালক এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। মাউশির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে পূর্বে আবেদনকারী প্রার্থীদের পুনরায় লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে, তবে তাদের কোন ফি দিতে হবে না। নতুন করে কাউকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনও করতে দেয়া হবে না।
কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রদর্শকদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছি। তাদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখন নিয়োগের অপেক্ষা। বাকি কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষাও আমরা শীঘ্রই নিয়ে নেব।’
প্রদর্শক পদে মোট ৩১৫ জন নিয়োগ পাবে। এর বিপরীতে ১৮ হাজার ৭৯ জন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেছিল বলে জানা গেছে।
দুর্নীতিবাজদের তালিকা ও কুকীর্তি
দীর্ঘদিন ধরে মাউশিতে ঘাঁটি গেড়ে বসা দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলির জন্য আরেকটি তালিকা প্রণয়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে অশুভ ব্যবহারের কারণে সম্প্রতি মাউশির আটজন কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। এখন নতুন বদলির তালিকায় সংস্থাটির এক ডজনের বেশি অসাধু ও বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম থাকছে। তবে শিক্ষা ভবনের বিতর্কিত ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি কয়েকজন কর্মকর্তাকে রক্ষার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার এক অতিরিক্ত সচিব, যিনি নিজেও একই আদর্শের অনুসারী বলে অভিযোগ রয়েছে।
বদলি হওয়া আটজনের একজন সংস্থার সহকারী পরিচালক এটিএম আল ফাত্তাহ। তিনি গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিজ কক্ষে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রব?কে পিটিয়ে কান ধরে ওঠবস করান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আবদুর রব নিজের বদলির তদবির নিয়ে ওইদিন দুপুরে শিক্ষা ভবনের তৃতীয় তলায় এটিএম ফাত্তার কক্ষে যান। ওই কর্মকর্তা বদলির জন্য এটিএম ফাত্তাহকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। কিন্তু ঘুষের টাকা কম হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফাত্তাহ। এ নিয়ে কিছুটা বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে তিনি আবদুর রবের চুল ধরে টেনে পাশের কক্ষে পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের (বর্তমানে মহাপরিচালক) কাছে নিয়ে যান। সবার সামনেই আবদুর রবকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে ফাত্তাহ। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
ঢাকা কলেজে বদলি হওয়া আরেক সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রায়ই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করতেন, ধমকের ভাষায় কথা বলতেন। এছাড়া হাবিবের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) ট্যাম্পারিংয়েরও অভিযোগ রয়েছে।
বদলি হওয়া অন্য সহকারী পরিচালক শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তিনি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে একাধিক সরকার সমর্থক কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করিয়েছেন। তিনি মাউশির এক পরিচালকের গাড়ি ব্যবহার করতেন। শারমিনই মূলত শিক্ষকদের বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। শিক্ষা ভবনে এখনও তার প্রভাব রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মাউশি থেকে শীঘ্রই আরও এক ডজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে, যাদের বেশিরভাগই বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সুবিধাভোগী। এদের সরিয়ে সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানো হবে। কোন দুর্নীতিবাজকে এখানে রাখা হবে না। বদলির তালিকায় সবার আগে রয়েছেন উপপরিচালক (ডিডি) কামাল উদ্দিন হায়দার ও সেকায়েপ প্রকল্পের ডিডি মোর্শেদুল হাসানের নাম। এই দুই কর্মকর্তার স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই মাউশির কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বদলির তালিকায় আরও রয়েছেন সেকায়েপ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক প্রিম রিজভী (যিনি প্রায় আট বছর ধরে ঘুরেফিরে একই স্থানে কর্মরত), মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর এলিয়াছ হোসেন, পরিচালক ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট অধ্যাপক জুলফিকার রহমান ও সহকারী পরিচালক ড. ফারহানা হক, মাধ্যমিক শাখার শিক্ষা কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন, আইন কর্মকর্তা আল আমিন, সহকারী পরিচালক আশেকুল হক রানা, মনিটরিং অ্যান্ড এভাল্যুায়েশন (মিউ) শাখার সহকারী পরিচালক ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী মাহবুবা খাতুন লুনা, উপ-পরিচালক মাহবুবা ইসলাম পাতা, সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এদের মধ্যে জুলফিকার রহমানের কক্ষে সম্প্রতি কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কর্মচারীরা মনে করছেন, আদৌ চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি। সরকারের অর্থ লুটপাটের লক্ষ্যেই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র গায়েব করা হয়েছে।
এছাড়া বড় ধরনের কোন অভিযোগ না থাকলেও একস্থানে চাকরির মেয়াদ ছয় বছরের বেশি হওয়ায় মাউশির উপ-পরিচালক মেজবাউদ্দিন সরকার ও ওসমান ভূইঞাকে বদলি করতে চাচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিএনপিপন্থি এক অতিরিক্ত সচিব।
এসব ব্যাপারে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর এসএম ওয়াহিদুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘আমার এক নম্বর এজেন্ডা মাউশিকে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত করা, এখানে শিক্ষকবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। তবে কোন অসৎ কর্মকর্তার দায়-দায়িত্ব আমি নেব না।’
দুই হাজার কর্মচারী নিয়োগ
গত ৫ মে মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এক হাজার ৯৬৫টি পদে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের বিতর্কিত পরীক্ষা দুটি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হলেও পূর্বের প্রার্থিতা বজায় রেখে শীঘ্রই নতুন করে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
তবে ওই সময়ে নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘ওই নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আমলাদেরও তেমন আগ্রহ ছিল না। তারা কেবল মাউশির ঘাড়ে এর দায় চাপাতেই ব্যস্ত ছিল। দুই পক্ষের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণেই মূলত কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম ঝুলে যায়।’
২০১৩ সালের ১৪ ও ২১ জুন দেশের সরকারি হাই স্কুল ও কলেজের শূন্যপদে কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে এই নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাউশি। নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল এক লাখ ৭৬ হাজার চাকরি প্রার্থী। উচ্চমান সহকারী পদে ২০১৩ সালের ১৪ জুন ৩৯টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। অন্যান্য পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ২১ জুন। বর্তমানে সারাদেশের সরকারি হাই স্কুল ও কলেজে প্রায় চার হাজার কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে।
নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কামাল উদ্দিন হায়দারের নেতৃত্বে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই অভিযোগ তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে ওই কমিটির প্রতিবেদন আজও আলোর মুখ দেখেনি। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই শাস্তি দেয়া হয়নি।
একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশন লিখিত পরীক্ষাটি বাতিলের পরামর্শ দেয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে অস্বচ্ছতা এবং ওএমআর শিট স্ক্যানিংয়ে অসামঞ্জস্য থাকায় জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিভাগীয় সিলেকশন কমিটিও ওই পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করে। ফলে বন্ধ থাকে এই নিয়োগ কার্যক্রম।