সবজি চারার নার্সারিতে সাফল্য

নার্সারি শব্দটা শুনলে মনে হয় নানা প্রজাতির গাছের চারা পাওয়ার স্থান। কিন্তু হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মশাজান বাজারের কাছে এক ব্যতিক্রম সবজি চারার নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে সারা বছর বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চারা উৎপন্ন হয়। জেলার কৃষক এখান থেকে চারা কিনে নিয়ে চাষ করে থাকেন। সবজি চারার নার্সারি হওয়ায় একদিকে চারা নিয়ে কৃষকের ভাবনা নেই, অন্যদিকে এ চারা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন রাজিব অ্যাগ্রো গার্ডেনের মালিক সৈয়দ আবদুল কাদির রাজিব।
রাজিব প্রায় ১২০ শতক জমির ওপর ২০১৩ সালে এ নার্সারিটি করেন। এখান থেকে সুলভ মূল্যে কৃষক চারা ক্রয় করে জমিতে রোপণের পর ভালো ফলন পাচ্ছেন। ১ বছরে এ নার্সারি থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ সবজি চারা বিক্রি হয়েছে। এসব চারা রোপণ করে চাষিরা অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন। তেমনি নার্সারি মালিক রাজিবও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
রাজিব জানান, এ বছর তার নার্সারিতে ব্রোকলি (বেগুনি-হলুদ), ক্যাপসিকাম (হলুদ-সবুজ), মিষ্টিলাউ, পানিলাউ, মাটিলাউ, করলা, চিচিঙ্গা, কুমড়া, মরিচ, টমেটো (কয়েক ধরনের), সাদা বেগুন, কালো বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ ১৩ জাতের সবজির চারা চাষ করা হয়েছে। ১৩টি ভিটে চাষ করা প্রায় ১২ লাখ সবজির চারা বিক্রির প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এ নার্সারিতে চারা তৈরি ও সবজি চাষে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এখানে গাছের উর্বর শক্তি বৃদ্ধিতে কম্পোস্ট সার, গোবর ও পোকা দমনে ব্যবহার হচ্ছে সেক্স ফেরোম্যান ফাঁদ। এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি অফিসার মাহবুবুল হক বলেন, সবজি চারা বিক্রি করতেই রাজিব নার্সারি গড়ে তুলেছেন। আর এ নার্সারি থেকে শত শত কৃষক চারা ক্রয় করে চাষাবাদে ভালো ফলন পাচ্ছেন।