রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

নতুন মাইল ফলক অর্জন করলো রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

প্রবাসীদের অর্থ প্রেরণ কমলেও রিজার্ভ নতুন মাইল অর্জন করলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদাও কমেছে। ফলে রিজার্ভ থেকে কম ব্যয় হয়েছে। তবে রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লুটের পর নানা ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে তা ৩১ বিলিয়ন ডলানোর ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি আয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছিল। অন্যদিকে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। রেমিটেন্স কমেছে ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের দাম কম থাকায় আমদানি বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার তুলনামূলক ব্যয় কম হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়নের মধ্যদিয়ে এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ। তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, সরবরাহ অনুযায়ী বাজারে ডলারের চাহিদা না থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে। এছাড়া বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা বিদেশি ঋণ নিয়ে আমদানি ব্যয় মেটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সামনের দিনে আরও ডলার কিনতে হতে পারে। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়বে।