এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ

লেখক : খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

অভ্যুদয়ের মুহূর্তে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে ‘বটমলেস বাস্কেট বা তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলার মধ্যেই একটি দেশ ও তার রাষ্ট্রনায়কের প্রতি তাদের আক্রোশ আঁচ করা যায়। একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও পাকিস্তানের সপে সপ্তম নৌবহর পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে যে জাতি ঐক্যবদ্ধ, মুক্তির নেশায় বুঁদ হয়ে স্ফুলিঙ্গের মতো যারা তেজোদ্দীপ্ত সেই বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামকে ষড়যন্ত্রকারীরা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। কিন্তু তাদের ক্ষোভ শেষ হয়নি; পরবর্তী সময়ে একাত্তরের বিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশে পঁচাত্তরের কলঙ্কিত রাত্রির জš§ দেয় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-; ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডকুমেন্টস’ গ্রন্থে এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশিষ্ট মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিপস্যুলজ তার ‘বাংলাদেশ- দ্য আনফিনিশড রেভ্যুলিউশন’ গ্রন্থেও এ বিষয়ে লিখেছেন। আগস্ট হত্যাকা-ের আগে বাংলাদেশ সফরের সময় গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা শেষে কিসিঞ্জার অপেমাণ সাংবাদিকদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেন, ‘একটি মানুষের অনুধাবনমতা যে এত ব্যাপক হতে পারে, তা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ না হলে কখনো বুঝতে পারতাম না। জাতির জনকের কাছ থেকে এ অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।’ লিপস্যুলজ বলেছেন, শেখ মুজিব সম্পর্কে কিসিঞ্জারের, বিশেষিত শব্দগুলোÑ ‘এ ম্যান অব ভাস্ট কনসেপশন’ ছিল এক ধরনের কথার কথা। শুধু কিসিঞ্জারের সফরই নয়, ওই সময়ে মার্কিন দূতাবাসও ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। মোশতাক আর তাহের উদ্দিন ঠাকুর গং সেখানে বসে চক্রান্ত সাজাত। লরেন্স লিপস্যুলজ ১৯৭৯ সালে ‘গার্ডিয়ানে’ এক লেখায় উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে কিছু বাংলাদেশি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাতের ব্যাপারে কথা বলেন। লিপস্যুলজ এই বাংলাদেশিদের পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে বঙ্গবন্ধুকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে খন্দকার মোশতাকের জড়িত থাকার প্রসঙ্গে লিপস্যুলজ এই বৈঠকগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তার লেখায় তিনি ইঙ্গিত দেন, এই বাংলাদেশিরা কোনো সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ : অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ে উল্লেখ করেন, মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগকারী বেসামরিক ব্যক্তিরা বেশ ক’বার অনানুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পঁচাত্তরের জানুয়ারিতে মার্কিনিরা এই বাংলাদেশিদের সঙ্গে আর আলোচনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ধারণা করা হয়, এই বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাত করার ব্যাপারে মার্কিন মনোভাব বোঝার জন্যই মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু এসব আলোচনা মার্কিন দূতাবাস বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেনি। ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে আত্মস্বীকৃত কর্নেল ফারুক-রশিদরা প্রত্যভাবে জড়িত থাকলেও তাদের পেছনে যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তিশালী মহলের মদদ ছিল, সেটিও সুনিশ্চিত। ইতিহাসের অনাবৃত অনেক সত্য উন্মোচিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির গতিধারায় ও সঠিক ইতিহাস চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় নতুন প্রজš§ এখন অনেক কিছুই জানতে পারছে। একাত্তরে পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তের বাস্তব রূপ দিতে। এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানম-ির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় ভোররাতে। হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকা-ের মাধ্যমে সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকা- বাঙালি জাতির জন্য করুণ বিয়োগগাথা হলেও ভয়ঙ্কর ওই হত্যাকা-ের খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক সরকার। হত্যাকা-ে জড়িত ১২ সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল মোশতাক-জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাংলার জনগণের মন থেকে মুছে দিতে যা যা করা দরকার, সবই করেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। কিন্তু ঘাতকের দল জানেনি বঙ্গবন্ধু মুজিবের যে আদর্শ লোহাবর্ণের বাঙালি ধারণ করেছে। বাংলার ঘরে ঘরে যে মুজিবের বসবাস, তাকে হত্যা করা যাবে না। জাতীয়তাবাদী নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবকে কাপুরুষোচিত হত্যার মাধ্যমে মূলত তার আয়ুকে দীর্ঘতর করেছে, বাঙালির হƒদয়ে মুজিবের অবস্থানকে দৃঢ়তর করেছে। শেখ মুজিবের দিকে নিপ্তি হত্যাকারীর বুলেটের আওয়াজ থেকে মুহূর্তের মধ্যে জš§ নিয়েছে অন্য এক আওয়াজ : ‘এক মুজিবের রক্ত থেকে ল মুজিব জš§ নেবে’। বিবিসি টেলিভিশনের দূরপ্রাচ্য সংবাদদাতা ব্রায়ন বারন সে সময়ই এ উপলব্ধি ধারণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েক দিন পর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। তৎকালীন ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিন আটক থাকার পর তাদের সবাইকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে লিখিত তার সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, ‘শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে ও জনগণের হƒদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তার বুলেট-বিত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তার কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে (‘দ্য লিসনার’, লন্ডন, ২৮ আগস্ট ১৯৭৫)। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় মতায় আসীন হলে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উš§ুক্ত করে এবং নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিচার সম্পন্ন করা হয়। খালেদা-তারেক-নিজামীর স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনের পাঁচ বছর এ রায় কার্যকরের পথে বাধা সৃষ্টি করে রাখা হলেও বর্তমান মহাজোট সরকার গঠনের পর ২০০৯ সালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং পাঁচজনের রায় কার্যকর হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি। দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েক খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐতিহাসিক দায়মুক্তি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের ঘাতকদের বিচার সম্পন্ন করে জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর চেতনাতেই বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃত্ব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নির্মিত হচ্ছে আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ বটমলেস বাস্কেট নয়। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ করতে এবং এ দেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে যে ভূখ-কে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল। আজকে তারাই বলছে, বাংলাদেশ ইজ অ্যা মিরাকল। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এশিয়ার ইমার্জিং টাইগারে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। বাংলাদেশ আজ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বলেছেন, উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। কোনো কোনো েেত্র ভারত থেকেও এগিয়ে। খালেদা-তারেকের ধারাবাহিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মধ্যেও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত একটি দেশ। আমরা এখন চাল রপ্তানির জন্য বাজার খুঁজছি, কোথায় আমাদের চাল রপ্তানি করা যায়। ওষুধ রপ্তানি করছি। যে বাংলাদেশে ’৭২ সালে বাজেট ছিল ৭৮৭ কোটি টাকা। ১ হাজার কোটি টাকাও না। এ বছর সে বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। কত দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ! সত্তরের দশকের ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ তলাবিহীন ঝুড়ি, নব্বইয়ের দশকের তুলনামূলক অচেনা বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী এক বিস্ময়ের নাম। উন্নয়ন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সম্ভাবনার দিগন্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে পতপত করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি-সন্ত্রাস-জটিলতার মধ্যেই পাল্টে যাচ্ছে দেশের চিত্র। কোনো চক্রান্তই থামাতে পারছে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-রথ। তার একনিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প একের পর এক পেখম মেলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, গ্যাস সংকট নিরসনে এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রাজধানীর চারপাশে স্যুয়ারেজ ট্যানেল নির্মাণের মতো অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি উন্নয়নের এ কর্মযজ্ঞে যোগ হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এবং দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্প। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অঞ্চলের কাজের উদ্বোধনও করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সমতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপদ এবং পণ্য পরিবহন-খালাস সহজীকরণ করতে নেওয়া আরো কিছু অবকাঠামোর সংস্কার হচ্ছে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও এগিয়েছে দেশ। ১৬ কোটি মানুষের দেশে কয়েক বছরে সক্রিয় মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ মহাকাশে উৎপেণের কাজ এগিয়ে চলছে, আগামী বছরে যা উৎপেণ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের সব মানুষকে যোগাযোগ ও সম্প্রচার সুবিধার আওতায় আনার পাশাপাশি দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত হবে। এমনকি স্যাটেলাইটের বর্ধিত ফ্রিক্যুয়েন্সি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও উপার্জন করা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি, শিা, জ্বালানি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন েেত্র এ রকম যে অভাবনীয় উন্নয়ন, তা এ অল্প লেখায় বর্ণনা সম্ভব নয়। শুধু এটুকু বলা যায়, বঙ্গবন্ধু ভৌগোলিক মুক্তি দিয়ে গেলেও এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের ট্র্যাজেডির পর স্বাধীনতাবিরোধী সরকার, স্বৈরাচার জিয়া-এরশাদ, খালেদা-তারেক গং, তার পর বিএনপি-জামায়াত জোটের পাহাড়সম দুর্নীতির কারণেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে এত দেরি। স্বাধীনতার পর দেশবাসীকে অপো করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে চার দশক। জাতি আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃত। দেশের মানুষের আস্থার জায়গা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন নেতৃত্বে কতটা আস্থাবান তা দেখা যায়Ñ ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে ধরা পড়া ৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কোরবান আলী বেপারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার মধ্যে।