বাংলাদেশ চা বোর্ডের মহা-ব্যবস্থাপক মোঃ শাহজাহান আকন্দ বলেন, এবার পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই। বাগানের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রেড স্পাইডারের আক্রমণ ছিল না। সব মিলিয়ে চা উত্পাদনের জন্য এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। উত্পাদন সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে দেশে চা উত্পাদন হয়েছিল ৬ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার কেজি। এটি ছিল এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ চা উত্পাদন। কিন্তু চলতি বছর অর্থাত্ ২০১৬ সালে এই রেকর্ড ভঙ্গ হবে। আশা করা হচ্ছে এবার ৭০ মিলিয়ন কেজি অর্থাত্ ৭ কোটি কেজি চা উত্পাদিত হবে।
শহরতলীর খান চা বাগানের ম্যানেজার হুমায়ূন কবির গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, এবারের বৃষ্টি ও সূর্যালোক ছিল চায়ের জন্য সুষম। এর ফলে চায়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। তিনি উল্লেখ করেন, তাদের বাগানে গত বছর অর্থাত্ ২০১৫ সালে উত্পাদন ছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫ কেজি। এবার ১২ আগস্ট শুক্রবার পর্যন্ত উত্পাদন হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯শ কেজি। অর্থাত্ বছর শেষ হওয়ার সাড়ে ৪ মাস আগেই ৬৩ হাজার ৮৮৫ কেজি চা বেশি উত্পাদন হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে ১৬৪টি চা বাগানের মধ্যে ১৪৪টি চা বাগান রয়েছে সিলেটে।
সাতকরা চা যাবে ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশে
চা বোর্ড সূত্র জানা গেছে ব্লাক টি, গ্রিন টি, সিলভার টির পর সম্প্রতি চা বোর্ড নতুন একটি চা বাজারে আনছে। এটি ব্রান্ডিং করা হচ্ছে সাতকরা চা নামে। চা পানকারীদের জন্য এটি হবে আরেক আকর্ষণ। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাতকরা ও চা’র সংমিশ্রণে তৈরি এ চা খুব শীঘ্রই বাজারজাত করা হবে। যার বাজার মূল্য হবে প্রতিকেজি ১৫০০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সাতকরা চা ব্রিটেনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।