ছোটবেলা থেকেই শখের তালিকার প্রথমে ছিল মাছ চাষ। সেই শখই আজ তার পেশায় পরিণত হয়েছে, যা তাকে এনে দিয়েছে সচ্ছলতা ও সম্মান। তার এ শখেই কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ১০ যুবকের। বলছিলাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদীর মধ্য পারুলীয়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন ফয়সালের কথা। ফয়সাল জানান, স্কুল জীবনে শখের বশে পুকরে দেশি মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। বেশ সফলতাও পান। সেই পথচলা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পরিধি। পারুলীয়া গ্রাম এবং আশপাশের ৩২০ শতাংশ জলাশয়ে তিনি চাষ করছেন বিভিন্ন ধরনের মাছ। একই সঙ্গে উৎপাদন করছেন বিলুপ্তপ্রায় দেশি মাগুর, কৈ, শিং, পাবদা, পাঙ্গাশ, কাতলা, রুইসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে তার কাছ থেকে পোনা কিনে নিয়ে যান। প্রতি বছর সব খরচ বাদে ৫ লাখ টাকা লাভ হয়। তার পুকুরে কর্মরত আছেন আরও ১০ লোক। মাছ চাষে তিনি সচ্ছল হয়েছেন।
তিনি একটি বড় পোলট্রি খামারও গড়েছেন। তিনি জানান, প্রথম দিকে তিনি মাছ চাষ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আশপাশের চাষিদের কাছ থেকে তিনি পরামর্শ নিতেন। পরে তিনি উপজেলা মৎস্য অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, পোনা চাষে লাভ বেশি। তাই নরসিংদীর এক মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারী হ্যাচারি থেকে রেণুপোনা সংগ্রহ করে শুরু করেন পোনা চাষ। ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে তা বিক্রির উপযোগী হয়। মাছ ও পোনা চাষের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে এমপি এবং ২০১৬ সালে ২৫ জুলাই নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।