লাভজনক হওয়ায় সিরাজগঞ্জে ঘাস চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘাস চাষ অনেক বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেপিয়ার জাতীয় ঘাস বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। গবাদি খামারিদের এতে বেশ সুবিধা হয়েছে বলে জানা গেছে। জমি ও রাস্তার পাশে এই সব ঘাস অতি সহজেই চাষ করা যায়। প্রতি মুঠা ঘাষ ১০ টাকা করে ফেরি করে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া সকাল বিকাল জেলার অনেক জায়গায় ঘাসের বাজার বসে।
সদর উপজেরার পিপুলবাড়িয়া এলাকার খামারি আব্দুল কাদের জানান, তার ১০টি গবাদি পশু রয়েছে। কিন্তু নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ঘাস ক্রয় করতে হয়। না হলে খৈল ভুসির পরিমাণ বেশি খাওয়ানো হয়। এতে খরচ বেশি পড়ত। ঘাস লাগানোর ৩ মাসের মধ্যে ঘাস বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিন ৭-৮শ টাকার ঘাস বিক্রি করে। আশপাশের অনেকেই ঘাষ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
গাভী খামারি মান্নান খান জানান, দুধেল গাভীকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে দুধ অনেক বেশি হয়। এখন অনেক বেকার যুবক খামার শুরু করেছে। কোরবানিকে সামনে রেখে কিছু মৌসুমি খামারি খামার করেছে এতে ঘাসের চাহিদাও বেড়েছে। জেলা জুড়ে ঘাষ চাষে কর্মসংস্থানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।