সম্প্রতি বাংলাদেশে পরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল। এদের মধ্যে বিদেশিও রয়েছেন, তাজিয়া উৎসবে যোগ দিতে আসা অথবা ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে আসা নির্দোষ সাধারণ মুসলিমরাও রয়েছেন। দেখে মনে হয় না যে, কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে টার্গেট করে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য কী? এখানে পরস্পর পরিপূরক পাঁচটি ভাষ্য তুলে ধরছি। সবগুলোই হয়তো কমবেশি সত্য!
গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থকরা অনুমান করছেন যে, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর রায় আসন্ন বলে সেটা ঠেকানোর জন্য এই হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হচ্ছে এবং তা আগামীতেও হবে; যদি না রায় দ্রুত কার্যকর হয়। যেহেতু শিগগিরই যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের রিভিউ পিটিশনের সুরাহা হবে, সেহেতু তার আশপাশেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হচ্ছে এবং আরও হবে। এটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ঠেকানোর সর্বশেষ মরিয়া প্রচেষ্টা।
আর একটি অনুমান হচ্ছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডগুলো সারাবিশ্বে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে ফ্রান্সে, তুরস্কে, জার্মানিতে, আফগানিস্তানে যে রকম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো, সে রকমই একটি হত্যাকাণ্ড এবার বাংলাদেশেও ঘটল। বৈশ্বিক জঙ্গি উত্থানের অংশ হিসেবেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে। মনে হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা আরও এই উপমহাদেশে ঘটবে। এই মতের প্রবক্তারা আরও বলছেন, আইএস নিজেই স্বীকার করেছে যে বিদেশি হত্যা তারাই ঘটিয়েছে। পাশ্চাত্য মহল এবং বিএনপির সমর্থকরা ও অন্য অনেকেই এই মতকে সত্য মনে করেন। এই মতের প্রবক্তারা দাবি করেন, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে।
সরকারি ভাষ্য অবশ্য এর বিপরীত। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, বিশেষ বিশেষ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের ভেতরে ‘হামলে পড়তে’ চায়। সে জন্যই তারা আইএসের অস্তিত্বের প্রশ্ন সামনে তুলে ধরছে এবং নিজেদের নাগরিকের জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ সিগন্যাল জারি করেছে, খেলোয়াড়ের দলের আগমন প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃত বিচারে বাংলাদেশ সেসব দেশের তুলনায় এখনও অনেক নিরাপদ। সরকারদলীয় যারা গ্র্যান্ড ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আগাম প্রচার চালাচ্ছেন তারা দাবি করছেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামীই এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। জামায়াতই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে লন্ডনে বসে জঙ্গিবাদী শক্তি এবং রাজনৈতিক ইসলামের শক্তিকে এক করে যুগপৎ ও সমন্বিতভাবে এই চক্রান্তগুলো চালাচ্ছে। তারা একে ‘হোম-গ্রোন’ বলছেন, যদিও এর পেছনে আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতার কথাও তারা এখন আর উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
অনেক বুদ্ধিজীবী মনে করেন, বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে রাজনৈতিক ইসলামের চর্চা চলছে। রাজনৈতিক ইসলামের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেককেই চাকরি দিয়েছে এবং তারা এখন তাদের ক্যাডার হিসেবে কর্মরত আছে। তাছাড়া মৌলবাদের এসব সুপরিচিত আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আঘাত করা তো দূরের কথা, ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ ধর্মীয় ভোটপ্রাপ্তির আশায় জামায়াত এবং হেফাজতের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নমনীয় আচরণ করেছে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং গণজাগরণ মঞ্চ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এসব ক্ষেত্রে নানা সুবিধাবাদী আপসের অভিযোগ নানা সময়ে উত্থাপন করেছে। সর্বশেষ ব্লগার হত্যার বিচার নিয়েও যে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে নিহত অভিজিৎ রায়ের পিতা অজয় রায়ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং এসব মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীর মতে, রাজনৈতিক ইসলাম এ দেশে শুধু নিজস্ব শক্তিবলে নয়, শুধু বিদেশি অর্থবলে নয় বরং দেশীয় শাসকশ্রেণির ভুল নীতি সংকীর্ণ স্বার্থপ্রসূত প্রশ্রয়ের মাধ্যমেও টিকে থেকেছে এবং বিকশিত হয়েছে। অবশ্য ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে এ কথাও আমরা স্বীকার করব যে, অতীতে এই রাজনৈতিক ইসলাম ও জঙ্গিদের সঙ্গে আপস ও প্রশ্রয়দানের পাপ আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপি শতসহস্র গুণ বেশি করেছে।
উদারনৈতিক গণতন্ত্রী এবং সুশীল সমাজের অনেকেই মনে করেন, বর্তমানে সমাজে সরকারবিরোধী যেসব দল ও শক্তির গণতান্ত্রিক স্পেস কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তারাই অনন্যোপায় হয়ে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করছেন। তাদের মধ্যে যারা মার্কিনভক্ত তাদের মতে, বাংলাদেশে মডারেট ইসলামীদের সহ জামায়াতকে কাজ করার অধিকার দিলে এ ধরনের চরমপন্থি কার্যকলাপ অনেকটাই কমে যাবে। ইসলামপন্থিরা তখন গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসবেন।
আমার মতে, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য এর সবগুলোরই কমবেশি সত্যতা রয়েছে। তবে নাটের গুরু ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী।
অতীতে অন্যদিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি শুধু রাজনৈতিক ইসলামকে প্রশ্রয়ই দেয়নি, তারা তাদেরকে ক্ষমতায়ও বসিয়েছে। সেই ক্ষমতার বলে রাজনৈতিক ইসলাম অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি বিকশিত হতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি এখনও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জঙ্গিবাদ ও রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কোনো পরিষ্কার ঘোষণা দেয়নি। যদিও ইদানীং বিপাকে পড়ে বিএনপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সংলাপ ও জাতীয় ঐক্যের প্রস্তাব পেশ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে আওয়ামী সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশের বিশাল অর্থনৈতিক প্রত্যাশার বিপরীতে বিদ্যমান রাজনীতির এই হৃদয়বিদারক বেহাল অবস্থা এখন জনগণকে পরিপূর্ণভাবে ভবিষ্যৎ দুই প্রধান শাসক দল সম্পর্কে এক বিশ্বাসহীনতার ও দিশেহারা ভাবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। হয়তো তারা অনেকেই বহু আগে প্রথম আলোর পাতায় আমি যেমনটি লিখেছিলাম সে রকমভাবেই ‘মন্দের ভালো’ এবং ‘মন্দ’ উভয়কেই প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাদের সামনে এখনও বিকল্প ‘ভালোর’ কোনো আশু দৃশ্যমান অস্তিত্ব না থাকায় তারা ক্রমাগত আরও রাজনীতিবিমুখ ও হতাশ হয়ে পড়ছেন। বামপন্থিরা যদি তাদেরকে ‘ভালোর’ একটি নীতিনিষ্ঠ সৃজনশীল বিকল্প দেখাতে পারতেন বাংলাদেশে, তাহলে এমন একটি নূ্যনতম প্রাথমিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠত, যেখানে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল উভয়ই হতো রাজনৈতিক ইসলাম ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও জিরো টলারেন্সের অধিকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারার অনুসারী। আমরা আবার মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শক্তি ভারসাম্য তৈরি হয়েছিল অন্তত সেখানে পেঁৗছে পুনর্যাত্রা শুরু করতে পারতাম।
কিন্তু বর্তমানে জনগণ সামনে তেমন কোনো বিকল্প দেখতে পাচ্ছেন না। আজ তাই রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে জনগণ দূরে সরে যাচ্ছে। ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’_ এই মনোভাব নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই হতাশা ও নিষ্ক্রিয়তাই আবার জঙ্গিবাদ ও বিভিন্ন বিচিত্র ধর্মীয় শক্তির জন্য, ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য এ দেশে একটি উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে। তাদের আক্রমণও তাই থামছে না। অভিজিৎকে যখন মারা হয় তখন হাজার হাজার লোক চারপাশ থেকে চুপচাপ সে দৃশ্য অবলোকন করেছে। ব্লগার ও অন্যদের হত্যাকারীদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে।
একদম যে ব্যতিক্রম নেই তা বলা যাবে না। তিনটি উজ্জ্বল ব্যতিক্রমের কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। জানুয়ারির নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজশাহীতে ঝর্ণা বেগম নামে এক নারী এক আক্রান্ত পুলিশকে নিষ্ঠুর আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। ঢাকার তেজগাঁওয়ে ব্লগার হত্যাকারীদের ধরার জন্য দু’জন ‘তৃতীয় লিঙ্গের’ সদস্য এগিয়ে এসেছিলেন। পহেলা বৈশাখে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একজন তরুণ লিটন নন্দী এগিয়ে এসেছিলেন। এই ঘটনাগুলো মনে আশা জাগালেও এই ধারাটি এখনও প্রধান ধারায় পরিণত হয়নি।
বর্তমান সন্ত্রাসী ক্রিয়াকাণ্ডের বৈশ্বিক মাত্রার দিকে নজর দিলে আমরা দেখতে পাই, সম্প্রতি কিউবার প্রবীণ বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো এক বক্তৃতায় বলেছেন_ ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোশাদ এবং আমেরিকান রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট বুশের অন্যতম সহযোগী সিনেটর মেকেইন এই দু’জনে মিলে মিথ্যা অজুহাতে ইরাককে আক্রমণ করেছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে আইএস গঠন করেন, যা এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কথাটি যে সত্য তার প্রমাণ পাওয়া যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট ওবামার কথায়। ওবামা বলেছেন, আইএসের উদ্ভব বুশের রণকৌশলের একটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ফল’ (ঁহরহঃবহফবফ ৎবংঁষঃ)। অর্থাৎ বুশ চেয়েছিলেন ডিক্টেটর সাদ্দামের পরাজয়; কিন্তু সেটা করতে গিয়ে তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জন্ম নিয়েছে আইএস নামক ফ্রাঙ্কেস্টাইন। আমরা আর একটু পেছনে গেলে আফগানিস্তানেও সে রকম ফ্রাঙ্কেস্টাইন তালেবান দলের সাক্ষাৎ পাই। সেখানেও সোভিয়েতপন্থি শাসক নজিবুল্লাকে তাড়াতে গিয়ে জন্মলাভ করেছে তালেবান এবং আল কায়দা। সিরিয়ায় আসাদকে তাড়াতে গিয়ে জন্মলাভ করেছে আইএস। এসব বিপদের গোড়ায় রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করার হীন প্রয়াস।
সুতরাং আজ বাংলাদেশে যদি আমরা বাঁচতে চাই তাহলে ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা যাবে না। ধর্ম বিশ্বাস হবে ব্যক্তিগত বিশ্বাস। এমনকি কেউ যদি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে না চায়, তাহলে সে অধিকারও তাকে দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন ধর্ম বিশ্বাসী তার ধর্ম পালন করবেন, ততক্ষণ তাকে কোনো বাধা দেওয়া চলবে না। কিন্তু যখনই কেউ নিজের ধর্মকে অন্য ধর্মের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানের দাবিতে এগিয়ে গিয়ে অন্য ধর্মকে আঘাত করবেন কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে বলবেন, তখনই তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে দাঁড়াতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে, নিজ ধর্মে বিশ্বাস কখনোই অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষে পরিণত হতে পারে না। তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে_ এটাই হওয়া উচিত সব ধর্মের মর্মবাণী। ধর্ম নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করব না। এই উদার লোকচেতনা বাংলাদেশে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে রাজনৈতিক ইসলামের উত্থান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বন্ধ করা যাবে না। তাই জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি প্রদান, নিশ্ছিদ্র পাহারা, দ্রুত বিচার ও রায় কার্যকর করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা ইত্যাদি প্রচেষ্টার পাশাপাশি তৃণমূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই লোকচেতনা প্রতিষ্ঠার মাটি কামড়ানো কঠিন প্রচেষ্টাটি ছাড়া এই সমস্যার কোনো সহজ ও দ্রুত সমাধান হবে না। তাই একদিকে যেমন সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা এবং হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে; অন্যদিকে তেমনি উদার সাংস্কৃতিক লোকচেতনা পুনরুদ্ধারের জন্য তৃণমূলে পরিকল্পিতভাবে সেক্যুলার শিক্ষা ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকাণ্ডের প্রসারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিটি কওমি মাদ্রাসার পাশে গড়ে তোলা হোক একটি করে আবাসিক ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি গ্রামে মাসে একবার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান-সিনেমা-নাটকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক। নীতিনির্ধারকরা যদি এসব কাজে আরও দেরি করেন, তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো এসব কাজ করার কোনো সুযোগই আর পাওয়া যাবে না।
অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়