আম কুল পেয়ারার চারা যাচ্ছে বিদেশে

খুলনার নার্সারি পল্লীখ্যাত ফুলতলায় বর্ষা মৌসুমে চারা বিকিকিনির হাট বসেছে। নানা জাতের চারার মধ্যে থাই-৭ জাতের পেয়ারা, কুল ও আমের চারার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এখানকার পেয়ারা ও কুল ভারতে এবং আমের চারা দুবাইয়ে রফতানি হচ্ছে। এছাড়া শত শত শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুমে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের পেয়ারা, কুল ও আমের চারা বিদেশে রফতানি হবে। সব মিলিয়ে উপজেলার ৪ শতাধিক নার্সারিতে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিক্রি হবে। গেল মৌসুমে আমড়া ও কদবেল জাতের চারা নানা দেশে রফতানি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফুলতলা উপজেলায় ধানি জমির আবাদ কমে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় নার্সারি করা হচ্ছে। সারা মৌসুমে এখানকার শ্রমিকরা কর্মব্যস্ত থাকেন। নার্সারিতে বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আমড়া, বেদানা, সফেদা, আতা, মেহগিনি জাতের লাখ লাখ চারার উৎপাদন হচ্ছে। এখানকার অনেক মহাজন চাষির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে নার্সারি থেকে। হাইব্রিড নার্সারির মালিক আবু সাঈদ সরদার জানান, থাই-৭ জাতের পেয়ারার চারার প্রতিটি মূল্য ৩০ টাকা, কুলের চারা ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং আমের চারা প্রতিটি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কুল ও পেয়ারার চারা বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এবং আমের চারা বিমানে করে দুবাইয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখিত তিনটি ফলের চারা ১২ মাস উৎপাদিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে ঘেরের আইলের ওপর পেয়ারা ও কুলের চারা রোপণ করে চাষিরা সফল হয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ১ মণ পেয়ারা ও ২০ কেজি করে কুল উৎপাদন হয়। পেয়ারা, কুল, আম, সফেদা ও লিচুর চারা রোপণের সময় স্থানীয় কৃষক জৈব সার ব্যবহার করেন। কৃষক জৈব সার হিসেবে গোবর, পাতাপচা, ধানের চিটে, খৈল, মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করেন। শীত মৌসুমে স্থানীয় বাজারে এ দুইটি ফলের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। স্থানীয় সূত্রগুলো আরও বলেছে, প্রতি নার্সারিতে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকের মাথাপিছু মজুরি ৩০০ টাকা। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে খুলনার ফুলতলা উপজেলা থেকে ৭০০ নিমের চারা, ২ শতাধিক বাবলার চারা সৌদি আরবে রফতানি করা হয়। এর পর পরই শুরু হয় আম, পেয়ারা ও কুলের চারা রফতানি।

খবরটি পঠিত হয়েছে ১৬০ বার