মাহমুদার শীতল পাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দোয়াখাঁ গ্রামের মাহমুদা খানমের অক্ষর জ্ঞান নেই। জীবনে কখনো পাঠশালার ধারে কাছেও যাননি। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো বেত দিয়ে শীতল পাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কনের সাথে একাধিক দেশ ও বিভিন্ন স্থানের নাম লিখেছেন।

অক্ষর জ্ঞানহীন মাহমুদা খাতুন শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তির ওপর নির্ভর করে শীতল পাটিতে তৈরি করেছেন অনেকগুলো শিল্পকর্ম। তার এই কর্ম প্রতিভা আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তিনি প্রচারে বিশ্বাসী নন।

তাই তার এ শিল্পকর্ম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বৃটেনেও সমাদৃত হলেও সেভাবে আলোর মুখ দেখেনি। প্রবাসী আত্মীয়দের মাধ্যমে এ শীতল পাটি বর্তমানে বৃটেনের অনেক বাঙালির ড্রয়িং রুমে শোভা পাচ্ছে। আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে তিনি এরকম অনেক শীতল পাটি তৈরি করলেও দেশে রয়েছে মাত্র দু’টি।

মাহমুদা খাতুন জানান, ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে শীতল পাটি তৈরি করা শিখেছেন। সে সময় স্কুলে যাওয়া হতো না। তাই বাড়ির পাশের মুত্রা গাছের ছাল থেকে বেত বের করে শীতল পাটি তৈরি করা শুরু করেন। গতানুগতিকের বাইরে নতুন কিছু করার চিন্তা সব সময় তার মনকে নাড়া দিতো। পাটি তৈরিকালে নতুন কিছু করা থেকেই দেশের মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেন।

মাহমুদা খাতুনের মেয়ে আছিয়া বেগম জানান, প্যারালাইসিস রোগে তার মা আক্রান্ত। দীর্ঘদিন বিছানায় ছিলেন। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হলেও প্রয়োজনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারেন না। দেশের মানচিত্র ছাড়াও শীতল পাটিতে হরেক রকমের শিল্পকর্ম তিনি এঁকেছেন।