পারিবারিকভাবেই রাজনীতির ধারাপাতের সঙ্গে পরিচিত শেখ হাসিনা। দেশ ও জাতির জন্য পিতাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে দেখেছেন বাল্যকালেই। পিতার আদর-স্নেহ ছাড়াই ভাইবোনদের কেটেছে বছরের বেশিরভাগ সময়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতেও ছিল তার স্বক্রিয় অংশগ্রহণ। বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন শেখ হাসিনা। এভাবেই চলছিল সময়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমৃদ্ধির সোপানপানে এগিয়ে চলেছে দেশ। দেশকে নিয়ে আপাতত ভাবনার কিছু নেই- তাই রাজনীতির পাঠ আপাতভাবে বন্ধ থাকল। কিন্তু পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট শেখ হাসিনাকে আবারো বাধ্য করল রাজনীতিতে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সে এক করুণ দশা। সামরিক স্বৈরশাসনের পীড়নে জাতি স্বপ্নহীন উদ্দেশ্যহীন সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছিল আর অপেক্ষার প্রহর গুনছিল দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের জন্য। তিনি হাল ধরলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনগর্ঠিত হলো। আন্দোলন, সংগ্রামের জন্য তৈরি হয়ে উঠল জাতি।
সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে আবারো স্বক্রিয় এ মহান নেতা অল্প দিনেই মেধা ও মনন দ্বারা রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিলেন। আন্দোলন, সংগ্রাম, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া এবং দেশগড়া হলো তার ব্রত। তারই ক্রমিক নিয়মে তিনি আজ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। কেবল দেশীয় পরিপ্রেক্ষিতে নয়, আন্তর্জাতিক দরবারেও তিনি এক মহান ও উজ্জ্বল নেতা। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে নারীদের সংগ্রাম, উন্নয়ন ও নেতৃত্বের রোল মডেল। হাজারো প্রতিক‚লতা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নেয়া যায়, কেবল প্রগাঢ় বুদ্ধিমত্তা ও অসীম সাহসিকতা দিয়েই যে অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মতো বিশ্বজনীন সমস্যারও সমাধান করা যায়, শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছেন। তিনি এসব ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্বের রোল মডেল। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিতের সংগ্রামে অবিচল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তার এই অবিচল পদক্ষেপে দেশের ক্ষমতালিপ্সু মহল ভারাক্রান্ত। তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কখনো সখনো বিশ্বসম্প্রদায়েরও কাউকে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে সামগ্রিকভাবে যখন বিশ্লেষণ করা হয়, তখন সব বিতর্ক ছাপিয়ে শেখ হাসিনার বীরত্বের কর্মসূচিই প্রাধান্য পায়। তাই তো বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ নেতা আখ্যায়িত করে। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ, সাউথ সাউথ পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কারে সম্মানিত।
শ্রেষ্ঠ নারী নেতা হিসেবে সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেন্স লিডারস ফোরামে প্রধান অতিথি হিসেবে শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও গ্লোবাল ইস্যুতে নারী হিসেবে অনন্য অবদানের জন্যই শেখ হাসিনাকে আদর্শ নেতা হিসেবে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়। আয়োজকদের উদ্দেশ্য, নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা, সমস্যা সংকুল পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে সব প্রতিক‚লতা অতিক্রম করে কি করে সমগ্র জাতিকে পৌঁছে দেয়া যায় এক বিশেষ উচ্চতায় নারীদের বিশ্বসভা শুনবে সে গল্প। জাতির জন্য স্বপ্ন রচনা, দূরদর্শী ভাবনার বাস্তবায়ন কিভাবে করা যায়, করতে হয় সেই গল্প বিশ্বের অন্য নারীদের যাতে অনুপ্রাণিত করতে পারে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা তাদের বঞ্চিত করলেন না। শুনালেন বাংলাদেশের গল্প, বাঙালির গল্প। প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসের পরিচয় পেলেন বিশ্ব নারী নেত্রীরা। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই বলে গেলেন নিজের সংগ্রামের কথা, নিজ দেশের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিত আর বিশ্ব নারীদের জন্য করণীয় বিষয়ে নানা কথা। শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের বলেন, সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে নারী ও বালিকাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষাসহ দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের ক্ষমতায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে আন্তরিক অঙ্গীকার এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব থাকতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির জন্যও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছর নিউইয়র্কে আমরা একটি পরিবর্তনশীল এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছি। নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নতুন এজেন্ডা উপস্থাপন করা হয়েছে। যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকে, তবে এটি অর্জন করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীর জন্য একটি সুষ্ঠু বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মর্যাদার সঙ্গে এবং সব ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে বসবাস করা যায়। এ ছাড়া নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ভেঙে লিঙ্গ সমতা বিধানে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপ উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, তার সরকার নারীর উন্নয়নে উচ্চাভিলাষী নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেখানে নারী এবং পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। এই নীতিমালায় আমরা নারী শিক্ষা এবং নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে তার সরকার জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং জাতীয় বাজেটেও নারী উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করেছে। বাংলাদেশের জিডিপির শতকরা ২ শতাংশ নারীর সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় করা হয়েছে। যার সুবিধাভোগী ভাগ্যবঞ্চিত অসহায় দরিদ্র নারীগোষ্ঠী। নারী শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অবৈতনিক নারী শিক্ষা চালু করা সরকারের পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ একটি সংগ্রামমুখর দেশ। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে রূপান্তরিত করার জন্য দেশটিকে সর্বদা সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নারীর অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশে মাধ্যমিক থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রকার মেধাবৃত্তি প্রদানের আওতায় আনা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টিফিন প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে ঝরে পড়া কমেছে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে। শিক্ষার পাশাপাশি সরকার মাতৃস্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিকেও নজর দিচ্ছে। সারা দেশে হাসপাতাল স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রায় ১৬ হাজার ৫শ কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের প্রসূতি সেবাও নিশ্চিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘মেটার্নাল হেলথ ভাউচার স্কিম’ চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে গর্ভধারিণী মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে নিরাপদ সন্তান প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও সরকার ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্ব নারী নেতাদের সম্মেলনের এ বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশই বিশ্বে সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে সংসদ নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমান সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। যা মোট সদস্যদের শতকরা ২০ ভাগ। ২০২০ সাল নাগাদ সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা পরিষদে ১ জন নির্বাচিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ৩৩ শতাংশ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নির্বাচিত নারী সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এই বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের ফলে সমাজের প্রথাগত মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো সক্ষম হয়েছে। আগে যেখানে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণকে সামাজিকভাবে ভালো চোখে দেখা হতো না, শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন পরিবারের অন্য সদস্যরাও নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। তারা নিজেরাও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয় এবং নারীকে বিজয়ী করে নিজেরা বিজয়ী হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পেশায় নারীদের সাফল্যজনক অংশগ্রহণও বেড়েছে। সমাজের সব পেশার ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। বিশেষ করে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিভিন্ন কারিগরি ক্ষেত্রেও নারীরা উচ্চপদে আসীন রয়েছে। দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতায় যুক্ত রয়েছে বহু নারী। খেলাধুলায় বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল এমনকি উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়েও এগিয়ে এসেছে নারীরা। শেখ হাসিনা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, আমাদের নারীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত রয়েছে। পাশাপাশি নারী ক‚টনীতিক, বিমানের বৈমানিক, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের নারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থেকে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে এদেশের নারীরা সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে সমর্থ হচ্ছে এবং জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে।
সীমাবদ্ধতাও রয়েছে কিছু। সব সমস্যার তো আর রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি দুর্বলতা ভেবে আড়াল না করে অকপটে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসব গুরুত্ব¡পূর্ণ অগ্রগতি সত্ত্বেও আমাদের সামনে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ, এখনো পুরোপুরি কার্যকর অর্থে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, বাল্যবিয়ে কিংবা নারী ও মেয়ে পাচার বন্ধ করতে পারিনি। তবে সরকার অবশ্য এই সামাজিক দুষ্টক্ষত দূর করতে বিভিন্ন কঠোর আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং প্রশাসনিক বিধিবিধান প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এসব অপরাধ এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে শেখ হাসিনার বক্তব্যে। এসব ক্ষেত্রে তার সরকার ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কারণে শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে এই বাল্যবিয়ে চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
বিশ্ব নেতাদের সামনে বাংলাদেশের সফলতা-দুর্বলতা নিয়ে শেখ হাসিনার সাহসিক এ উচ্চারণ যেন গ্লোবাল উইমেন্স লিডার ফোরামের মঞ্চে আরেকটি বাংলাদেশেরই প্রতিবিম্ব উপস্থাপন। কোনো রাখঢাক না করে সহজসরল স্বীকারোক্তিতে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন। আর এ কারণেই সম্মেলনের প্রধান অতিথি, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিত। অনুসরণীয় বিশ্বের আর সব দেশের জন্য। যার স্বীকারোক্তি মিলেছে সম্মেলনে অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের বক্তৃতাতেও। এখানে শেখ হাসিনার সাফল্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব দেশের নারী সমাজের বঞ্চনা, নির্যাতন, নিগ্রহ আর পিছিয়ে পড়ার ইতিহাসকে বদলে দিয়ে নতুন ও সম্ভাবনার ইতিহাস সৃষ্টি করা। নারীরাও সমান অধিকার নিয়ে এগিয়ে আসবে। সমাজের সব ক্ষেত্রে উন্নয়নে অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপে এমন দিনের বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ সেই সুবর্ণ দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।