বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যেই ২৩তম উন্নত অর্থনীতির দেশ

বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যেই ২৩তম উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে। এমন ধারণা এখন অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার। আর এই ধারণাটির ভিত্তি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সাত পেরিয়ে যাওয়ায়।
কোলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে বাংলাদেশের আর্থিক বিকাশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন ধারণার কথা বলা হয়েছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত বসুর এই প্রতিবেদনটি আজ আনন্দবাজার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন দেশ কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে তার হিসেব অর্থনীতির নিরিখে। সেই বিচারেই বাংলাদেশ চমকেছে বিশ্বকে। বিশ্বব্যাঙ্ক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সবাই হতভম্ব। সবাই ভেবেছিল বাংলাদেশের গ্রোথ রেট মেরেকেটে ছ’য়ে পৌঁছবে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তারা সাত পেরিয়েছে।এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে বিস্ময় কাটছে না।
এ ব্যাপারে আরো বলা হয় , অর্থনীতি ম্যাজিক নয়। জাদুদন্ডে ভোল পাল্টানো যায় না। অনেক কষ্টে সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠা। পিছলে পড়লে ফের উত্তরণের সংকল্প। সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাঁর ধারণা কিন্তু আলাদা। তিনি বলেছেন, এটা দেশের সব মানুষের পরিশ্রমের ফসল। কামার, কুমোর, সরকারি বেসরকারি কর্মচারী, প্রান্তিক মানুষের অবদানের কারণেই বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। সব পর্যায়ের মানুষ পরিশ্রম করে দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
প্রবৃদ্ধির হার সাত অতিক্রম করাকে বছর ফুরোনোর আগে মাত্র ন’মাসেই বিশাল চমক হিসাবে মূল্যায়ন করে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফিরেই হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পা বাড়ান। বার বার তাঁর স্বপ্নভঙ্গ হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা পথ রুখে দেয়। তার সঙ্গে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বমন্দা। অবশেষে সাফল্য এল ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে।
বছরের শেষে বৃদ্ধির হার দুম করে কমে আসবে কিনা এমন আশংকাকে উঁড়িয়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেমন কোনও শঙ্কার কারণ নেই। বরং আরও বাড়তে পারে। দেশে রাজনৈতিক শান্তি বিদ্যমান, বাম্পার ফসল হয়েছে বোরোতে। তাতেই জিডিপি আরও ওপরে ওঠার সম্ভাবনা। এখনও কৃষিতে অবদান কম। জনপ্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহণ- এই চারটি স্তম্ভ উন্নয়নের ভিত গড়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়ছে। ১,৩১৬ ডলার থেকে হচ্ছে ১,৪৬৬ ডলার। উন্নতির রকম দেখে চমকেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। বাংলাদেশকে সমীহ করতে শুরু করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাই মনে করছে, ২০৫০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ২৩তম উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে। ভাবনায় ভুল নেই। গতিবিধি সে কথাই বলছে।