আউশ ধানে ৩৩ কোটি টাকা প্রণোদনা

দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র এলাকার ৪৯ জেলার ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৬৪ চাষিকে আউশ চাষে ৩৩ কোটি ৬২ লাখ ২৩৫ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ প্রণোদনার ঘোষণা দেন। এ সময় কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উফশী আউশের ক্ষেত্রে চাষির সংখ্যা ২ কোটি ১ লাখ ৩৬৩ ও নেরিকা আউশের ক্ষেত্রে চাষির সংখ্যা ৩০ হাজার। এ অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকেই দেয়া হবে। আলাদা কোনো বরাদ্দের প্রয়োজন হচ্ছে না বলেও জানান মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের চলতি খরিপ মৌসুমে উফশী ও নেরিকা আউশের আবাদ বাড়াতে প্রণোদনা দেয়া হবে। এর আওতায় বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আর্থিক সহায়তা পাবেন কৃষক। তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র এলাকার যেসব জেলায় সেচের সুব্যবস্থা নেই এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আউশনির্ভর জেলাগুলোয় আউশের বিভিন্ন জাত জনপ্রিয় করতে এ প্রণোদনা কর্মসূচি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় ৪৯টি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, কুমিল্লা, চাদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবাগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
কৃষিমন্ত্রী জানান, সচ্ছল কৃষক এ প্রণোদনা পাবেন না। তবে সরকারি তালিকা অনুযায়ী অসচ্ছল চাষিরা বিকাশের মাধ্যমে এ অর্থ হাতে পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে উফশী ধানের বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার, সেচ বাবদ ৪০০ টাকা পাবেন। অন্যদিকে প্রতি কৃষক নেরিকা আউশ ধানের বীজ পাবেন বিঘাপ্রতি ১০ কেজি , ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি; সার বাবদ ৪০০ টাকা এবং আগাছা দমন বাবদ ৪০০ টাকা। এ প্রণোদনা বাস্তবায়ন হলে ৭০৫৭৮ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন উফশী আউশ এবং ১০০৩৩ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন নেরিকা আউশ উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।