১১৬ কৃষাণীর আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান

যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের বর্গাচাষি লিয়াকত আলীর স্ত্রী আনজুরা (৩৫) জানান, ঘরের আঙিনার ২ কাঠা পরিত্যক্ত জমিতে তিনি ১৩ রকমের সবজি চাষ করেছেন। কেঁচোসার, মেহগিনির তেল ও খৈল ব্যবহার করেছেন ক্ষেতে। এই সবরকম ফসলের স্বাদ তিনি পেয়েছেন। আরেক গৃহবধূ নাজমা বেগম (৩৫) জানালেন, স্বামীর কাছ থেকে ২ কাঠা জমি নিয়ে তিনি এখন ১৩ ফসলি চাষে নেমেছেন। কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়াই এই সবজি চাষ থেকে গ্রামের অন্য নারীরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। শুধু নারীরা নয়, গ্রামের পুরুষদেরও বিষমুক্ত সবজি চাষে উদ্বুব্ধ করছেন তারা।শুধু আনজুরা বা নাজমা বেগম নন, লেবুতলা ইউনিয়নের ১১৬ জন কৃষাণী বাড়ির আঙিনায়, পতিত জমিতে ১৩ ধরণের সবজি চাষ করছেন। আর এই সবিজ চাষে তারা ব্যবহার করছেন কেঁচোসার, মেহগিনির তেল ও খৈল। কোনো ধরণের কীটনাশক ছাড়াই তারা এই সবজি উৎপাদন করছেন। এই কৃষাণীদের উৎপাদিত সবজি তারা নিজেরা খেয়ে বিক্রিও করছেন। বিষমুক্ত এই সবজির ভালো দাম পেতে বাজারজাতকরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।ইউপি মেম্বর মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, বাড়ির উঠোনে কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়াই সবজি চাষ করে নারীরা দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন পুরুষরাও মাঠে কীটনাশক ছাড়া কিভাবে সবজি চাষ করা যায় তার খোঁজখবর নিচ্ছে। এই কৃষাণীদের নিয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত হলো বহুবিধ ফসল চাষাবাদ বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস। লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের ইউপি মেম্বর মোহাম্মদ ওয়াসিমের বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বক্তৃতা করেন উলাসী সৃজনী সংঘের সমন্বয়কারী সুলতানা রাজিয়া, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম সমন্বয়কারী মশিয়ার রহমান, বাজার সংযোগ কর্মকর্তা খুশনুর জাহান স্বপ্না, জীবনজীবিকা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃতিদীপ্ত বালা, ইউপি মেম্বর মোহাম্মদ ওয়াসিম প্রমুখ।