সুস্বাদু ‘স্কোয়াশ’ হাসির ঝিলিক

উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে ‘স্কোয়াশ’ সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে কৃষক। সবজির তালিকায় ‘স্কোয়াশ’ নতুন সবজি হিসেবে যোগ হওয়ায় অল্প খচর ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় দ্বিগুন মুনাফা পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। এটি একটি বিদেশী জাতের সবজি। আঞ্চলিক নাম ‘স্কচ’ হলেও এর প্রকৃত নাম স্কোয়াশ। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে কাচা বাঙ্গি বা বড় শশা আকৃতির। এর স্বাদ মিষ্টি কুমড়োর মত। ভাজি, চর্চরী, মাছ তরকারীতে রান্না খাওয়ার উপযোগী এবং সুস্বাদু।

ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কোয়াশের আবাদ। আগ্রহ দেখা দিয়েছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে। উচ্চ ফলনশীল ছোট দন্ডায়মান একটি স্কোয়াশ গাছের উচ্চতা হয় ৪/৫ ফুট। পর্যায়ক্রমে একটি স্কোয়াশ গাছ থেকে ৫/৬টি ফল সংগ্রহ করা যায়।

পূরাণগ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন তার ৭ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় আশি হাজার টাকা। স্কোয়াশ গাছে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফুল থেকে ফল ধরতে শুরু করে। আর ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই বাজারজাতকরনের উপযোগী হয়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বাজারজাত করে এ পর্যন্ত তিন দফায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় এক-দেড় লাখ টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। তবে নতুন সবজি হিসেবে ক্রেতাদের মাঝে স্কোয়াশের চাহিদা রয়েছে। পাশের বাষ্টিয়া গ্রামের কৃষক ফরমান মিয়া তার ২০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ আবাদ করেছের। অল্প সময়ে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম খরচে স্কোয়াশ উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া আবাদে ফসল পাওয়া যায় তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন স্কোয়াশ ফলন পাওয়া সম্ভব। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৫ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উজ্জামান বলেন, স্কোয়াশ সবজির আবাদ এলাকায় নতুন। পরিচর্যা ও ফসল উৎপাদনে কৃষকের প্রাথমিকভাবে নানা সমস্যা হতে পারে। তবে অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্কোয়াশের উৎপাদন ও মুনাফা দুটোই বেশি। তাই স্কোয়াশ আবাদে কৃষককে পরামর্শ কিংবা সহায়তা প্রদানে মাঠ কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।