অর্থবছরের প্রথম আট মাস: রফতানিতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রফতানিতে আট দশমিক ৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসময়ে দুই হাজার ২১২ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩১ কোটি ১৮ লাখ ডলার। অর্থবছরের শুরু থেকে প্রথম কয়েক মাস নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পর নভেম্বর মাসে রফতানিতে গতি আসে। রফতানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ভাল প্রবৃদ্ধিও হয়। আর গত মাসেও সে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল বলে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা বলেন, রফতানি আয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান খুবই সন্তোষজনক চিত্র প্রকাশ করছে। পোশাক খাতসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি ভালো। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে রফতানি আয় অনেক বেশি হবে। আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধিও বেশ ভাল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি অর্থবছরের জন্য তিন হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম আট মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ১৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ কোটি ৮৭ ডলার বেশি রফতানি হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি আয় দেশে এসেছে। অপরদিকে একক মাস ফেব্রুয়ারিতে আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে। আর একক মাসের লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় চার দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির জন্য ২৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। মাস শেষে দেখা যায় গত মাসে ২৮৫ কোটি ৪২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়।

ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে তৈরি পোশাকের নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে ৮৬৪ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় এক শতাংশ বেশি। ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৯৪৮ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি আয় ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক দশমিক ৭৫ শতাংশ, রাবার ও রাবার পণ্য রফতানিতে ৩২ দশমিক ০৮ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি ২৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য রফতানিতে ৬৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অন্যদিকে কৃষি পণ্যে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য রফতানি ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, পশম ও পশমি জাতীয় পণ্যে ৯১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, পাট ও পাট জাত পণ্যে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল খাতে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।