২০৫০ সাল নাগাদ আড়াই কোটি মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত হবে

২০৫০ সালে দেশের বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য চালের প্রয়োজন হবে ৪ কোটি ৪৬ লাখ মেট্রিক টন। আর গত পাঁচ বছরের চালের উৎপাদন বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে এই পরিমাণ চাল উৎপাদন করে তখন দেশে ২ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
গতকাল শনিবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মিলনায়তনে ‘২৪তম ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মশালা এবং ব্রি বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৪-১৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রির মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) মো. শাহজাহান কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) মো. আনছার আলী।
শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, ‘অগ্রসর কেন্দ্রগুলো থেকে ধান বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে অতি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। ওই প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা খাদ্য নিরাপত্তায় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা করছি।’
দিনব্যাপী প্রথম কর্মশালায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজের অর্জন ও অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী ব্রি বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় গত এক বছরে ব্রির ১৯টি গবেষণা বিভাগ এবং নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ফলাফল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠানে ব্রি, ডিএই, বারি, বিএআরসি, ইরিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।