আজ আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস। ‘ডিজিটাল কাস্টমস : প্রগ্রেসিভ এনগেজমেন্ট’ সেস্নাগান নিয়ে বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে_ বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টারিং, হ্যান্ডবিল বিতরণ এবং গণমাধ্যমে বিশেষ
ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
দিবসটি পালন, রাজস্ব আহরণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও মুদ্রা পাচার এবং নতুন কাস্টমস আইন ও কর্মকর্তাদের পুরস্কার ও তিরস্কার নিয়ে সোমবার যায়যায়দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
যাযাদি: রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরের পরিকল্পনা কী?
নজিবুর রহমান: রাজস্ব আদায়ে প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। চিঠি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এর মধ্যে রয়েছেন সরকারের সব সচিব, সংস্থাপ্রধান, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, এসপি, ডিসি থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। যাতে সবাই রাজস্বের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়, সহযোগিতা করে। এতে সারাদেশে একটা রাজস্ব সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। দেশের বিভিন্ন বাহিনী দেশ রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসছে। যেমন সেনাবাহিনীর আওতায় সেনাকল্যাণ সংস্থা, ট্রাস্ট, ট্রাস্ট ব্যাংক, ডেইরি খামার, সেনা কুঞ্জ, সেনা মালঞ্চ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আবার নৌবাহিনী দেশের জন্য বড় বড় জাহাজ বানাচ্ছে। সবই অর্থনৈতিক কর্মকা-ের মধ্যে পড়ে। রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে এসব বাহিনীর কর্মকর্তারা যাতে সম্যক অবগত হতে পারেন তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর আওতায় থাকা বিভিন্ন ব্যবসায় যেমন_ সেনা কুঞ্জ, সেনা মালঞ্চে বড় বড় অনুষ্ঠান হয়। এগুলোর ভাড়া ও আর্থিক কর্মকা-ের সঙ্গে ভ্যাটের উপাদান রয়েছে। সরকারের প্রতিটি সংস্থা ও বাহিনীই উৎসে আয়কর ও উৎসে ভ্যাট কর্তনে ভূমিকা রাখছে। সবাই এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়ে, রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণকালে সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কি কি রাজস্ব দিতে হবে, তা তাদের বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। আবার সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো আয়কর দিচ্ছে কিনা, তাও তারা নজরে রাখতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এ সংস্কৃতি চালু রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটি সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ইথিওপিয়ার রাজধানীতে গত বছরের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ তৃতীয় উন্নয়ন অর্থায়ন সম্মেলন। এতে ‘আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা’য় ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ। দ্বিতীয়, আন্তর্জাতিক ও দেশি খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ, তৃতীয়, আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহযোগিতা সংগ্রহ এবং চতুর্থত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইত্যাদি। তাছাড়া বর্তমান সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টন গোলের অন্যতম হচ্ছে রাজস্ব ব্যবস্থা শক্তিশালী করা। সর্বক্ষেত্রেই রাজস্বকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেমন আমেরিকায় কেউ যত বড় অপরাধই করেন না কেন তাকে জামিন দেয়া হয়। কিন্তু রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হলে তার জামিন নেই।
যাযাদি : এবারের শুল্ক দিবস সম্পর্কে বলুন।
নজিবুর রহমান : শুল্ক দিবসের প্রণিধানযোগ্য বিষয় হচ্ছে ‘ডিজিটাল কাস্টমস, প্রগ্রেসিভ অ্যানগেইজমেন্ট’। বাংলায় দাঁড়ায় ‘ডিজিটাল কাস্টমস, ক্রমবর্ধমান সংযোগ। এর মাধ্যমে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্টভাবে কাজ করা যাবে। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৮০টি দেশ কাস্টমসকে ডিজিটাল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। কাস্টমস দিবসে ব্যবসায়ী ও কাস্টমসের কৃতী কর্মকর্তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া হবে।
যাযাদি: শুল্ক আইন প্রায় চূড়ান্ত। এটি কতটা কর ও ব্যবসায়ীবান্ধব?
নজিবুর রহমান: নতুন শুল্ক আইন অবশ্যই ব্যবসায়ীবান্ধব হবে। আগেরটার ছিল উপনিবেশিক আমলের, পাকিস্তান আমলের তৈরি। নতুন আইনে ব্যবসায়ীদের জন্য শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় যেন সহজ হয়, তার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত কিছু ‘উত্তম চর্চা’ বা ‘গুড প্র্যাকটিস’ এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার খরচ কমে যাবে, সময় কম লাগবে। দেশ ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সূচকে উন্নতি করবে।
আমরা চাচ্ছি সৎ ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে। যারা সৎ তাদের জন্য এনবিআর ফুলের শুভেচ্ছা রাখে। আর অসৎদের জন্য এনবিআর বাঘ। সৎ ব্যবসায়ীরা যাতে সৎভাবে কাজ করতে পারে, এনবিআরের কর্মকর্তারা যেন তাদের হয়রানি করতে না পারে, তার জন্য অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা শনিবারও এনবিআরের সেবা দিয়ে আসছি।
যাযাদি: যোগদানের পর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের পুরস্কার ও তিরস্কারের কথা বলেছিলেন।
নজিবুর রহমান: হ্যাঁ, পারফরমেন্সের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের পুরস্কার ও তিরস্কার করা হচ্ছে। যারা ভালো করছেন তাদের জন্য পুরস্কার থাকছে। আর যারা খারাপ কাজে জড়াচ্ছেন তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আমি অফিসারদের তিনভাবে ভাগ করেছি।
এক, সবুজ অফিসার : যারা দেশপ্রেমিক, রাষ্ট্রের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করেন, করদাতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেন, তারা সবুজ অফিসার। তাদের ভালো ভালো জায়গায় প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিদেশ যাওয়ার সুযোগ এলে তারা অগ্রাধিকার পান। যারা কাস্টমস দিবসে সম্মাননা পাবেন তাদের মধ্যে সবুজ কর্মকর্তা আছেন।
দুই, হলুদ অফিসার : যারা অর্ধেক সেবা রাষ্ট্রকে দেন আর অর্ধেক নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা হলুদ অফিসার। এরা করদাতাদের হয়রানি করেন।
তিন, লাল অফিসার : যারা রাষ্ট্র ও জনগণ বোঝে না, নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকেন, তারা লাল অফিসার।
সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবার স্বভাব বদল হচ্ছে। যারা লাল তারা হলুদ হচ্ছেন। যারা হলুদ তারা সবুজ হচ্ছেন। আর যারা সবুজ আছেন তাদের দক্ষতা আরো বাড়ছে। যারা ভালো কাজ করছেন তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যাদের কাজে গাফিলতি আছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, শাস্তিমূলক বদলি করা হচ্ছে। তবে এনবিআরে অধিকাংশ কর্মকর্তাই ভালোভাবে কাজ করছেন। প্রত্যেকের মাসিক রিপোর্ট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিমাসেই তা মূল্যায়ন করা হয়। এটা দেখে সে নিজেই বুঝতে পারে তার কোথায় উন্নতি করতে হবে। অনেক সময় বোর্ড থেকেও বলে দেয়া হয়, কোথায় উন্নতির দরকার।
চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জের কিনা?
নজিবুর রহমান: এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা আগে কখনো হয়নি। আমরা চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। এ দেশে ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেট শুরু হয়েছে মাত্র ১৬৪ কোটি টাকায়। গত বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। অনেকে বলেছিলেন এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকাও আদায় হবে না; কিন্তু আমরা ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করে দেখিয়েছি। যত চ্যালেঞ্জই থাকুক না কেন তা বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনার মাধ্যমে তা জয় করা হবে। দেশের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়ছে। দেশের অন্তর্নিহিত শক্তি অনেক বেশি। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়তে পারে। এর মধ্যে ভ্যাট হবে আমাগী দিনের রাজস্বের ভবিষ্যৎ। ভ্যাট অনলাইন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যখন অনলাইনে এনবিআরে ভ্যাট জমা দেবেন, তখন আয়ও অনেক বেড়ে যাবে। আয়করেও একই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল এনবিআর’। তারই একটা অংশ ডিজিটাল কাস্টমস।
যাযাদি: সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ পাচার বেড়েছে। এ নিয়ে এনবিআর কী করছে?
নজিবুর রহমান: আমাদের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ মুদ্রা পাচার দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি মানিলন্ডরিং আইন সংশোধন করে এনবিআরকে ক্ষমতা দেয়া হয়ছে। এর পরই আয়কর ও শুল্ক বিভাগকে সংগঠিত করে কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে যারা কর ফাঁকি দিয়ে মুদ্রা পাচার করে তা রোধে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফাঁকিবাজ বা অপরাধীদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি: ‘রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি’ গড়ে তুলতে এনবিআর কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
নজিবুর রহমান: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংগ্রহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠপর্যায়ের সব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করছেন। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি সর্বত্র ‘রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি’ গড়ে তুলতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন ‘সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনার কাঠামো’ এর আওতায় দুর্নীতি, হয়রানি, অসদাচরণ এবং বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে রাজস্ববিষয়ক পাঠ প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (কর), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং, পরিকল্পনা এবং উন্নয়নসহ সব একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য রাজস্ববিষয়ক কোর্স কারিকুলাম প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ী, স্টেকহোল্ডার এবং করদাতাদের সঙ্গে ‘রাজস্ব সংলাপ’ ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হচ্ছে। সপ্তাহব্যাপী আয়করমেলা ও সোস্যাল সংলাপসহ প্রথমবারের মতো ৩ দিনব্যাপী শীতকালীন আয়করমেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সঙ্গে সমন্বয় সাধনে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, শুল্কনীতি, করনীতি, মূসকনীতি শীর্ষক চারটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের সংগঠন মেট্রোপলিটন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। কমিউনিটি রেডিওতে রাজস্ববিষয়ক প্রচার-প্রচারণা চালানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের অর্থবিষয়ক সংসদীয় কমিটি, সরকারি হিসাবসংক্রান্ত কমিটি, বিচারবিভাগ, অডিট বিভাগ, বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই এবং ঢাকার বাইরের চেম্বারগুলোর সঙ্গে নিয়মিত পার্টনারশিপ ডায়ালগের আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংকের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব (আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট) বিষয়ক মডিউল প্রবর্তন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিসিএস ১৯৮২ সালের ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের নিয়মিত কর্মকর্তা নজিবুর রহমানের জন্ম সুনামগঞ্জ জেলায়। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে ইকোনমিক মিনিস্টার, ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।