বেড়েছে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ থেকে ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৭৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। কৃষি ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আমন ও বোরোর দুটে মৌসুমের কারণে কৃষক থেকে ঋণের চাহিদা বেশি হওয়ায় সার্বিক কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকগুলো মোট কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৭৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। ঋণ বিতরণের এ হার পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ পূরণ করেছে। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ হয়েছিল ৭ হাজার ৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

এদিকে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ বা ৮৫০ কোটি টাকা বেশি। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের উল্লিখিত ৬ মাসে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

যা তাদের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৪৯ লাখ যা তাদের লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে। এবার মোট ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৬ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ২৯৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছরেও ব্যাংকগুলোকে মোট ঋণের ন্যূনতম আড়াই শতাংশ কৃষি ও পল্লী খাতে বিতরণ করতে হবে। নতুন ব্যাংকগুলোর জন্য এ হার ৫ শতাংশ। যারা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে না তাদের অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা করতে হবে। ব্যাংক এই জমার ওপর কোনো সুদ পাবে না।