জাতীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যোগ হলো নতুন প্রজন্মের আরো দুটি বিমান। এ নিয়ে বিমানবহরে জাতীয় পতাকাবাহী বোয়িং এয়ারক্রাফটের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে বিমানবহরে ১৬২ আসনের ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’ নামের ফ্লাইট দুটির সংযোজন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, নতুন প্রজন্মের দুটি এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত হওয়ায় দেশের বিমান পরিবহন শিল্প জোরদার হবে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ, পার্কিং সুবিধা বৃদ্ধি এবং এভিয়েশন সার্ভিস সম্প্রসারণে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামালউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব এম খুরশিদ আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিল, বোয়িং কম্পানির প্রতিনিধি সবিতা গৌড় ও বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান শুধু একটি পরিবহন কম্পানিই নয়, এটি আমাদের জাতীয় পতাকা বহন করছে এবং বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। জাতীয় এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত।’ বাংলাদেশ বিমানকে দেশের ভাবমূর্তির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংস্থার ভাবমূর্তি রক্ষা করা বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকরা বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করতে চায়। তারা ভালো সেবা পেলে অবশ্যই তাদের পছন্দের তালিকার প্রথমে বিমানকে রাখবে।
বিমানের চেয়ারম্যান এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।