গার্মেন্টস সেক্টরে রেকর্ড পরিমাণ রফতানি আয়

রানা প্লাজা ধস ও তাজরিন ফ্যাশনে আগুন লাগার মত বড় দুটি বিপর্যয়কে পাশ কাটিয়ে আবারো সফলতা পেয়েছে দেশের গার্মেন্টস সেক্টর। ২০১৫ সালে রেকর্ড পরিমাণে রফতানি আয় এসেছে এই সেক্টর থেকে।

জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে আয় হয়েছে ২৬.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি যে কোন সময়ের জন্য সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। ২০১৪ সালে এই সেক্টর থেকে রফতানি আয় ছিল ২৪.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রিপোর্ট অনুসারে এ বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দ্রুত বৃদ্ধি পায় গার্মেন্টস সেক্টরের আয়। জানুয়ারি থেকে মোট আয়ের ১৮.৪০ ভাগ আসে অক্টোবর মাসে এবং ১৪.৭৪ ভাগ আয় হয় নভেম্বরে। তাই ২০১৬ সালে আরো আয়ের আশা করছে গার্মেন্টস মালিকরা।

তিনটি ক্ষেত্রকে সামনে রেখে সামনের বছর নিয়ে বেশ আশাবাদি গার্মেন্টস মালিকরা- চীনের থেকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসা স্থানান্তর, কম খরচে উৎপাদনসহ ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃনির্মাণ এবং তুলার দাম হ্রাস। এ ছাড়াও দেশে ব্যবসা করার মত সুষ্ঠ পরিবেশও সাহায্য করছে বলে মনে করছেন গার্মেন্টস মালিকরা।

পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে দেশের ২ ভাগ ফেক্টরি বর্তমানে ঝুকিপূর্ন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচরস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের (বিজেএমইএ) প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৫ সালের থেকে ২০১৬ সালে আরো বেশি উন্নতী করবে গার্মেন্টস সেক্টর। কেননা এরই মধ্যে অধিকাংশ গার্মেন্টস পর্যবক্ষেন করা শেষ। তারা জানিয়েছে, এখানে নিরাপদ পরিবেশ রয়েছে।’

তিনি আরো জানান, গার্মেন্টস মালিকরা এখন অনেক সতর্ক। তারা নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে ঢাকার বাইরে তাদের নিজস্ব জমিতে ফ্যাক্টরি স্থানান্তর করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে চলতে লাখ লাখ ডলার খরচ করছে তারা।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী বছর এ বছরের তুলনায় আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো জানান, মূলত চীন তার পোশাক তৈরি খাতে আগ্রহী না হওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে।
65 62