এশিয়ায় বাংলাদেশ তৃতীয়

এশিয়া–প্যাসিফিকের টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিযোগিতা নিয়ে জিএসএমএর গবেষণা

টেলিযোগাযোগ খাতের বাজার প্রতিযোগিতার দিক থেকে এশিয়ার তৃতীয় সেরা বাংলাদেশ। মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) করা ‘মোবাইল ইকোনমি ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাজারের আকারে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ২০টি দেশে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিযোগিতা কেমন সেটির ভিত্তিতে এ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার প্রতিযোগিতার তীব্রতা ও মান নির্ধারণে হারফিন্ডাল-হার্শম্যান সূচক (এইচএইচআই) ব্যবহার করা হয়েছে এ গবেষণায়।
একটি বাজারে প্রতিযোগিতা কেমন—এইচএইচআইয়ের মাধ্যমে সেটি বের করা হয়। একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা দেওয়ার জন্য একটি বাজারে কতটি প্রতিষ্ঠান আছে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বাজার দখলের শতাংশকে বর্গ করে এইচএইচআই সূচক নির্ধারণ করা হয়। এ সূচকের সর্বোচ্চ মান ‘০’ ও সর্বোচ্চ মান ১০ হাজার।
এইচএইচআই সূচকে একটি বাজারের স্কোর ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে সেটিকে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজার মনে করা হয়। বাজারের স্কোর দু-তিন হাজারের মধ্যে থাকলে সেটিকে প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলা হয়। যে বাজারের সূচক ১০ হাজারের যত কাছাকাছি, সেটিকে ততটাই একপেশে বাজার ধরা হয়।
এইচএইচআই সূচক অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের স্কোর ২ হাজার ৯৩২। জিএসএমএর তালিকাভুক্ত ছয় মোবাইল অপারেটর ও দুটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বাজার দখলের ভিত্তিতে এ স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ছয়টি মোবাইল অপারেটর আছে। এগুলোর মধ্যে ৪২ শতাংশ বাজার দখল নিয়ে শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলালিংকের বাজার দখল ২৫ শতাংশ, তৃতীয় রবি আজিয়াটার বাজার দখল ২২ শতাংশ, চতুর্থ এয়ারটেলের বাজার দখল ৭ শতাংশ, টেলিটকের ৩ শতাংশ এবং সিটিসেলের ১ শতাংশ বাজার দখল রয়েছে। বাজার দখলের এ হিসাব গ্রাহকসংখ্যা ও আয়ের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। গ্রাহকসংখ্যায় তৃতীয় হলেও আয়ের দিকে বাজারে রবি দ্বিতীয়, বাংলালিংক তৃতীয়। রবি-এয়ারটেল একীভূত হলে মোবাইল অপারেটরের সংখ্যা পাঁচে নেমে আসবে।
এ সূচকে বাজার প্রতিযোগিতার এশিয়া-প্যাসিফিকের সেরা দেশ ভারত, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান। ভারতের এইচএইচআর স্কোর ১ হাজার ৪০০, আর পাকিস্তানের স্কোর ১ হাজার ৮০০-এর বেশি।
জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বাজার প্রতিযোগিতা নিয়ে জিএসএমএর এ গবেষণার সঙ্গে আমি একমত। এই বাজারে প্রতিযোগিতা যাতে না কমে, সেটি নিশ্চিত করতেই বিটিআরসি কাজ করছে। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলেই সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা পাওয়া সম্ভব।’