কক্সবাজারে তিন দিনব্যাপী মেগা বিচ কার্নিভাল শেষ হয়েছে গতকাল। এ উৎসব ও থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে এবার কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসা জমজমাট। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের হিসাবে, গত তিনদিনে এখানে শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তারা জানান, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পুরো জানুয়ারিতে কক্সবাজারে আরো ১০ লাখের মতো পর্যটকের আগমন ঘটবে। এতে শুধু কক্সবাজারেই পর্যটন ব্যবসা ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কক্সবাজারের হোটেল মালিকদের ভাষ্যমতে, থার্টিফার্স্ট নাইট ও মেগা বিচ কার্নিভাল ঘিরে তিনদিনেই দুই লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল সমুদ্রসৈকতে। পর্যটকের আনাগোনা থাকবে আরো অন্তত এক মাস।
কক্সবাজার হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, এখানে ছোট-বড় ৩৯১টি হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউস আছে। যাতে ৭৭ হাজার পর্যটকের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো হোটেলেই এখন কক্ষ খালি নেই। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে ধরলে দৈনিক ২ কোটি টাকা এবং এক লাখের বেশি পর্যটকের দৈনিক খাবারের বিপরীতে ৫০০ টাকা করে ধরলে ৫ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। তাছাড়া বিমান, সড়ক, নৌপথে যোগাযোগ, সৈকতে ছাতা ভাড়া, শামুক-ঝিনুক পণ্য, আলোকচিত্র, ভ্রাম্যমাণ দোকান, শুঁটকি, আচার, ডাব, মাছ, চিংড়ি, কুটির শিল্পসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় দৈনিক লেনদেন হচ্ছে আরো কয়েক কোটি টাকা।
গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার সৈকতে চার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় বসানো দুই হাজারের বেশি চেয়ার-ছাতা, কোনোটাই খালি নেই। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত এখন লাখো পর্যটকে সরগরম।
পর্যটকের পছন্দের স্থান প্যাঁচার দ্বীপ ‘মারমেইড ইকো বিচ রিসোর্ট’। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জানান, রিসোর্টের ৮০ শতাংশ অতিথি বিদেশী পর্যটক। বিদেশীরা অনলাইনে কটেজ বুকিং নিয়ে এখানে আসেন। গত মৌসুমে হরতাল-অবরোধে লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু এবার ঈদের পর ব্যবসা জমে উঠেছে। লাবণী পয়েন্টে হোটেল কল্লোলের ১৪১টি কক্ষের সব কয়টিই ঈদের আগে বুকিং হয়ে গেছে। এসব কক্ষ এর আগের তিন মাস প্রায় খালিই পড়ে ছিল। ঈদে ভালো ব্যবসা হচ্ছে বলে জানান হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমদ।