প্রযুক্তি g মামুন রশীদ
প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারসের (পিডব্লিউসি) সাম্প্রতিক এক পার্টনার সামিটে আমাদের বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত বিশ্বের বৃহত্তম ৫০০ কোম্পানির সিইওদের জন্য এখন প্রযুক্তি পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং হালনাগাদ প্রযুক্তি গ্রহণ করাই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে যারা দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবে তারাই ব্যবসায়ে জিতে বা এগিয়ে যাবে, আর যারা দেরি করবে তারা পিছিয়ে বা ছিটকে পড়বে। প্রযুক্তি ব্যক্তিপর্যায়েও অনেকের জীবনে ক্ষমতায়নের সুযোগ এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন ও সামাজিক জীবনে নানা সমস্যার সমাধানেও প্রযুক্তির অবদান রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতবছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) দেয়া ভাষণে বলেন, প্রযুক্তির প্রচলন ছড়িয়ে পড়ার সুবাদে আজকের দিনে জন্ম নেয়া শিশুরা তাদের আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করছে।
এটি বলা বোধহয় অতিশয়োক্তি হবে না যে, আমাদের বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন করেছে তা প্রণিধানযোগ্য। এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রকৃষ্ট উদাহরণও রয়েছে। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে অনেক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। বিশেষ করে ‘ইউনিয়ন ইনফরমেশন সেন্টার’ বা ‘ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র’ তো দেশব্যাপী গ্রামের মানুষকে অভাবিত সেবা দিয়ে চলেছে। গ্রামীণফোনের সেই ‘ফোন লেডি’ তথা পল্লীফোনের ধারণা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এ-টু-আই (অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের (আইসিটি) আওতায় ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার তৈরিসহ তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। আরো কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
উন্নয়ন অংশীদাররাও এসব প্রকল্পকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। সেজন্য তারা প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের পরিমাণ বাড়িয়েছে এবং গবেষণা সহায়তাও দিয়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ৩১ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহক ও ৫ কোটি ৩৯ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ তথা ৫ কোটি ১৪ লাখ গ্রাহকই তাঁদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে থাকেন। সার্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে নেয়া উদ্যোগগুলোর ফল ইতোমধ্যে আমরা পেতে শুরু করেছি, যা ভবিষ্যতে নিঃসন্দেহে আরো বাড়বে।
আশা করা হচ্ছে, দেশে চলতি ২০১৫ সাল শেষে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ২০ শতাংশে উন্নীত হবে। এই হার জুলাইতে ছিলো ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবাসমূহ বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-আয় আনয়ন ও স্থানীয়ভাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রীতিমতো এক বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে বলা যায়। দেশকে ডিজিটালকরণের লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপগুলো মানুষের ঘরে ঘরে প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে খোদ প্রধানমন্ত্রীর যেমন কার্যকর প্রতিশ্রুতি রয়েছে তেমনি তাঁর এতদসংক্রান্ত উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদও অব্যাহতভাবে এই খাতের প্রকল্প-কর্মসূচিগুলোকে নিবিড় নজরে রেখেছেন। সেজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় হয়ে উঠেছে সরকারের অন্যতম সক্রিয় মন্ত্রণালয়।
আজকাল তো অনলাইনের মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন যেমন করা যায় তেমনি পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ হয়। একইভাবে বিদেশে চাকরির রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন, হজযাত্রার নিবন্ধন, বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল বা সরকারি ফরম সংগ্রহ, ট্যাক্স বা আয়কর রিটার্ন দাখিল, টেন্ডার বা দরপত্রে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজকর্ম অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে ডিজিটাল রেনেসাঁ বা নবজাগরণের অল্প কয়েকটি নমুনা। এরকম আরো অনেক কার্যক্রম এখন ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় অর্থাত্ অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়। সেই রকম উল্লেখযোগ্য দুটি বড়মাপের সেবা কার্যক্রম হলো, মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন এবং অনলাইন ব্যাংকিং। এছাড়াও দেশে দিনদিন টেলি-মেডিসিন সেবার দ্রুত বিকাশ ঘটছে। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের রুমে গিয়ে ফেনী-নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্কাইপে আন্তর্জাতিক মানের চিকিত্সাপত্র দেয়া দেখে আমি চমকে গিয়েছি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেমন রোগের চিকিত্সা চলছে তেমনি গ্রামাঞ্চল বা মফস্বলের প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরাও ঢাকায় বসে অনেক সময় প্রকল্প উদ্বোধন করেন, জনসভায়ও তাঁদের বক্তব্য সরাসরি দেখানো হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অভিযাত্রায় সারা দেশে ৫,০০০ ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার বা ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর ওপরের দিকে আছে ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সেল বা জেলা তথ্য সেল ও ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেল বা জাতীয় তথ্য সেল। এসব তথ্যকেন্দ্র ও সেল স্থাপনের সুফল ভোগ করছে জাতি। পোস্ট অফিস বা ডাকঘরও এখন তথ্যপ্রযুক্তি সেবার আওতায় চলে এসেছে। সরকার দেশব্যাপী ৯,০০০ গ্রামীণ ডাকঘর এবং প্রায় ৫০০ উপজেলা ডাকঘরকে ই-সেন্টারে পরিণত করেছে। ডাকঘরের মাধ্যমে মোবাইল মানি অর্ডার ও পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা চালু করাও বড় মাইলফলক। এসব সেবার মতো আগামী দিনগুলোতে আরো অনেক নিত্যনতুন সেবা চালু হবে বলে আমরা আশা করি।
জেলা সদরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে গ্রামের লোকজনকে এখন নানা ধরনের ই-সেবা দেয়া হয়। সবমিলিয়ে সরকার নানা ধরনের তথ্যসেবা চালু করার ফলে এখন মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমেছে। বদৌলতে মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়েছে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা চালুর মধ্যেই সীমিত থাকেনি এ সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম। প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন ও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি আসছে। ফলে পুরোনো পণ্য-সেবাগুলোর জায়গায় হালনাগাদ পণ্য-সেবা দ্রুত চালু হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোনের সক্ষমতা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ক্লাউড কম্পিউটিং, কোয়ানটাম কম্পিউটিং, রিয়েল-টাইম স্পিচ ট্র্যানজেকশন, ন্যানো কম্পিউটার, উইয়ারেবল ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক, সাইবার সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা, স্মার্ট সিটিজ, ইন্টারনেট এসব পণ্য-সেবার বিকাশ ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা এখন থ্রিডি প্রিন্টিং ও বায়োমেট্রিকস চালুর বিষয়ে জোরালোভাবে কথা বলছেন। অনলাইন কার্যক্রমে এখন যেভাবে নতুন নতুন ডিভাইস, কৌশল ও প্রবণতা ব্যাপকহারে চালু ও বিকশিত হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের লাইফস্টাইল বা জীবনধারাকে আমূল পাল্টে দিবে বলেই মনে হচ্ছে।
দেশকে ডিজিটাল করে তুলতে হলে প্রশাসন, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ সব খাতেই আরো অধিকহারে স্মার্ট মেশিন ও প্রক্রিয়াগত সুযোগ-সুবিধা অর্থাত্ প্রযুক্তির প্রচলন ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। এরফলে আমাদের লাইফস্টাইল বা জীবনধারার পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের কাজকর্মেও তথ্যপ্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ব্যবহারে মনোযোগ দেয়া ও এটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কোনো বিকল্প বা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। আমাদের সবাইকেই যে যার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার জানতে হবে। এদিক থেকে অবশ্য আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক এগিয়ে গেছে। তারা ক্লাউড কম্পিউটিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, বিগ ডেটা, ভিডিও গেমস, অ্যানিমেশন, আউটসোর্সিংয়ের মতো নিত্যনতুন প্রযুক্তি সেবা ও ধারণার সঙ্গে বেশ পরিচিত এবং এসব ব্যবহারে বেশ দক্ষও বটে।
একটি অত্যন্ত উত্সাহব্যঞ্জক বিষয় হলো, আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তায় দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সর্বাত্মক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো— লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং (শেখা ও আয় করা), মোবাইল অ্যাপস নিয়ে প্রশিক্ষণ, আইসিটি খাতকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিমুখী করে তোলা, কর্মসংস্থান ও সুশাসন প্রকল্প, আইটিইএস ফাউন্ডেশন স্কিলস ট্রেনিং ও এক হাজার মিডল ম্যানেজার ট্রেনিং ইত্যাদি। বিশ্বখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজনেস স্কুলের সহায়তায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশে স্কুল পর্যায়েও আইসিটি শিক্ষার উপর জোর দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা টেলিভিশনের খবরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে দেশের আইসিটি নীতিমালা আধুনিকায়নের কথা বলতে দেখেছি। ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর বাংলাদেশ, দ্য ন্যাশনাল ডেটা, ভূমি রেকর্ড ডিজিটালকরণ ও আইটি পার্কের মতো বৃহত্ আকারের প্রকল্পগুলো খুব দ্রুত ই-গভর্নেন্স ও ই-সেবাসহ অর্থনৈতিক খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব অবদান রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
নানা চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এরই মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে এক সুখকর অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে। এই অবস্থায় একজন আশাবাদী নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত করার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে পরিণত হবে। তবে দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনটা নির্ভর করছে বর্ধিত বিনিয়োগ, মানবপুঁজির উন্নয়ন ও উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর। প্রযুক্তির প্রচলন ও ব্যবহার বৃদ্ধির সুবাদে উত্পাদনশীলতা বাড়বে বলে আশা করা যায়। এ ক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে যে প্রতিটি নতুন প্রযুক্তির জন্যই নতুন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা চালু করলেই হবে না, এর গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে সাধারণ জনগণকেও আইসিটিমুখী করে তোলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আবার গ্রাম ও শহর এবং বাংলাদেশ ও অন্যান্য বিকাশমান দেশের মধ্যে যাতে প্রযুক্তি বিষয়ে বিভক্তি বা পার্থক্য না থাকে এবং থাকলেও তা দূর করার দিকে নজর রাখতে হবে। অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে নিয়মিত তদারকি থাকতে হবে এবং এসব প্রকল্প বরাদ্দ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন যাতে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকে সেটিও নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ট্রেন’কে দুর্বার গতিতে সামনের দিকে চালিয়ে নিতে দেশে নতুন প্রজন্মের অসংখ্য উদ্যমী তরুণ ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে এবং আরও অনেকেই তৈরি হচ্ছে। তাদের সফলতাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ গড়ে দেবে এবং বিশ্ব দরবারে আমাদের একটি সফল ও সমীহ জাগানিয়া জাতি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।