পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে ই-জিপি শুরু

টেন্ডার অনিয়ম দূর করতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে শুরু হলো ই-জিপি সিস্টেম। এতে দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ও কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

দুই লাখ বোতল পভিডন ও আয়োডিন সল্যিউশন, এক লাখ রোল কটন কেনার টেন্ডার ঘোষণার মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে আইইএম ইউনিট সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোনো প্রতিষ্ঠানে এটিই এ ধরনের ই-জিপি সংক্রান্ত অনুষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিক্রয়ে এবার আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং বিদ্যমান জবাবদিহিতার বিষয়টি আরও ভালোভাবে পালিত হবে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নুর হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধিদফতরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মো. আব্দুস সালাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা। ই-জিপি সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (এমআইএস) মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস।

বক্তারা জানান, সরকারি ক্রয় কাজে এ সিস্টেম প্রবর্তনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২’র আওতায় হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এটি ব্যবহৃত হবে, যার মাধ্যমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দরদাতাদের অবাধ অংশগ্রহণ ও সমসুযোগ সৃষ্টি হবে।

এছাড়া ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া যাবে এবং প্রক্রিয়ায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়কে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রাখতে এ সিস্টেম চালু করেছি। বিভিন্ন কমিটি করেছি আমরা। পদায়ন-প্রমোশন থেকে সব কাজ কমিটির মাধ্যমে করি। সিস্টেমের মধ্যে থাকলে অনিয়ম থেকে বিরত থাকা যায়। ব্যক্তি ভুল করলেও সিস্টেম ভুল করে না।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এক সময় একটি শ্লোগান ছিল। অবাস্তব ধারনা মনে হচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চিন্তা-চেতনা দিয়ে কাজ করেছেন। তাই আজ এটি বাস্তব হয়েছে। সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়া, নির্মাণ, যোগাযোগ-সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এভাবে ‘গুড-গভর্নেস (সুশাসন)’ চালু হবে। কারণ এতে টেন্ডার নিয়ে মারামারির আশঙ্কা থাকছে না। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা থাকবে। অনিয়ম থাকবে না।