যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন

নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে দুই দল তথা দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং উন্নœয়ন সহযোগিতার জন্য নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে প্রথম চীন সফর করেন। মূলত ওই সময় থেকেই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের সূচনা হয়। বর্তমানে সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দুই দলের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও গভীর হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীন এখন বিশ্ব রাজনীতিতে সুপার পাওয়ার। চীনের কুনমিং শহরের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব মাত্র ১৪০ কিলোমিটার। চীনের বর্তমান সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন শক্তিশালী হয়েছে তেমনি দলীয়ভাবেও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে চীন বাংলাদেশের পাশে অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। আশা করি সেখানে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।
এর আগে চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ দূত ও দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার চেন ফেংজিয়াং বলেন, বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম সফর। আমি খুব আনন্দিত আওয়ামী লীগের উষ্ণ আতিথেয়তায়। তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। আমরা একসঙ্গে দুই দলকে তথা দুই দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাব। চেন ফেংজিয়াং চীনা ভাষায় আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪ মূলনীতিকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকবে চীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম জমির, মাহবুবউল আলম হানিফ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অসীম কুমার উকিল, আমিনুল ইসলাম আমিন, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। চেন ফেংজিয়াং-এর নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইয়ান ঝিবিন, ইয়ান রিং, লিও ইয়াং ঝি, টান উই, হিহি প্রমুখ।