স্পেন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, হসপিটালিটি ট্রেনিং, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
স্পেনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলতি বছর দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির পরিমান দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি দেশের অপ্রচলিত পণ্য স্পেনে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত এডোয়ার্ডো ডি লাইগলেসিয়ার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছী, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির জন্য সরকার নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একক দেশ হিসেবে স্পেন বাংলাদেশের রপ্তানির চতুর্থ বড় বাজার। গত বছর স্পেনে শতকরা সাত ভাগ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্পেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকাশিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। স্পেন চাইলে সেখানে জমি বরাদ্দ প্রদান করা হবে। স্পেন বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া বিনিয়োগের বিশেষ সুবিধাগুলো গ্রহন করতে পারে।
মন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য স্পেনের প্রতি আহবান জানান। বর্তমানে চট্রগ্রাম ইপিজেডে স্পেনের দু’টি কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ ও লাভজনক স্থান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানি পন্য এবং রপ্তানি বাজার সৃষ্টির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আইসিটি, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পন্য, জাহাজ ও ফার্নিচার নির্মাণ এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২৩ ও ২৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসটিআর অফিসে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টের (টিকফা) দ্বিতীয় বার্ষিক কাউন্সিলের বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন বানিজ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকে জিএসপি অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে। এতে শ্রমিকের অধিকার, সাসটেইন্যাবিলিটি কম্প্যাক্ট, বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ, ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধাসহ বালি প্যাকেজ বাস্তবায়ন, টিপিপি প্রভৃতি বিষয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন জিএসপির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করার আর কোন কারন নেই। বাংলাদেশ আশা করছে দ্রততম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি ফিরিয়ে দিবে।