আগামী বছরের জুন থেকে ফ্রিজের কম্প্রেসার উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের কারখানা কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই কম্প্রেসার ফ্যাক্টরি। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের কম্প্রেসারের নকশা তৈরি হয়ে গেছে অনেক আগেই। বার্ষিক ৪০ লাখ কম্প্রেসার তৈরি হবে ওই কারখানায়, যা থেকে বছরে ২৫ লাখ কম্প্রেসার রপ্তানির পরিকল্পনা আছে ওয়ালটনের। গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মেশিনারিজ সংযোজন। কমিশনিং শেষে আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটনের কর্মকর্তারা জানান, আলট্রা হাইব্রিড মানের ওই কম্প্রেসার হবে সাধারণ কম্প্রেসারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী, টেকসই, নিখুঁত এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। বর্তমানে ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক প্রকৌশলী ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও কম্প্রেসার প্রকল্প প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আম্বিয়া জানান, বাংলাদেশে এটাই প্রথম ফ্রিজের কম্প্রেসার তৈরির উদ্যোগ। বর্তমানে এশিয়ার সর্বোচ্চ মানের কম্প্রেসার ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজে। কিন্তু ওয়ালটন যে কম্প্রেসার তৈরি করতে যাচ্ছে তা হবে ওই কম্প্রেসারের চেয়েও অনেক বেশি কার্যকরী, টেকসই এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ফলে এশিয়ার সর্বোচ্চ মানের কম্প্রেসার তৈরি হবে বাংলাদেশে।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, কারখানায় বছরে তৈরি হবে ৪০ লাখ কম্প্রেসার। দেশীয় বাজারের ১৫ লাখের চাহিদা মিটিয়ে বাকি ২৫ লাখ রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কম্প্রেসার নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। নতুন এই কম্প্রেসার ফ্যাক্টরিতে তিন শতাধিক প্রকৌশলীসহ দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত কম্প্রেসার আরো মানসম্মত হবে বিধায় ১০ বছর বা তারও বেশি ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কম্প্রেসার প্রকল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মীর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ালটনের কম্প্রেসার হবে অনেক উচ্চমানের। ফলে ওয়ালটন বিশ্বব্যাপী শক্ত অবস্থানে যাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। অ্যাসেম্বলিং নয়, পূর্ণাঙ্গ কম্প্রেসার বাংলাদেশেই তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ এতে সফল হবেই।
মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সাধারণত বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন ধরনের কম্প্রেসার লাগে। কিন্তু ওয়ালটন এমন প্রযুক্তিতে কম্প্রেসার তৈরি করবে, যা যেকোনো আবহাওয়ায় এবং লো অথবা হাই ভোল্টেজেও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবে। উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায়ে ইন্ডাকশন পদ্ধতিতে শুরু হলেও পরে তা ইনভার্টার প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা হবে।