পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি বলেছেন, দোহারে পদ্মা নদীতে অচিরেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে বসতভিটা হারিয়ে কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত তাই পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
রোবরার বিকাল ৫টায় দোহার উপজেলার বাহ্রাঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দোহার উপজেলাকে আধুনিক উপশহর করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাই ভাঙনরোধে প্রথম পর্যায়ে ২শ ৭০ কোটি এবং দ্বিতীয় পর্যায় ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে করা হবে। রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট মসজিদ মাদরাসা মন্দির হাটবাজার উন্নয়নে কাজ করা হবে। মিথ্যা আশ্বাসে মানুষের মন জয় করা যায় না। তাই কাজের মাধ্যমে দোহারবাসীর মন জয় করতে চাই। পদ্মার ভাঙনরোধে প্রথমে ৩ কিলোমিটার, পর্যায়ক্রমে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে। দেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদ্যুতের ঘাটতি কমে গেছে। যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্বি পেয়েছে।
ক্রিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে আমি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ক্রিকেটের উন্নয়নে তিলে তিলে সবকিছু গড়ে তুলেছি। যখন দেখলাম আইসিসি থেকে সততা দূর হয়ে গেছে, দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে, আমাদের জোর করে হারানোর ব্যবস্থা করা হলো, তখন আইসিসির মতো বিশ্বমানের এ সংস্থা থেকে আমি পদত্যাগ করতে কুণ্ঠাবোধ করিনি। ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মার ভাঙনকবলিত বাহ্রাঘাটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান বলেন, রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য দোহারবাসীর কাছে এসেছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দোহারকে আধুনিক দোহার হিসেবে দাঁড় করার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ সময় হাজার হাজার মানুষের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বাহ্রাঘাট এলাকা। সহযোগিতার আশ্বাস দেয় জনগণ।
দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, আইজিআর আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। জনসভা শেষে মন্ত্রী ভাঙনকবলিত এলাকা পরির্দশন করেন।