বাংলা একাডেমির হালিমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পাচ্ছেন আসিফ

বাংলা একাডেমি পরিচালিত হালিমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পাচ্ছেন সাংবাদিক ও বিজ্ঞান বক্তা আসিফ। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়াহবে। বুধবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আসিফের ঠিকানায় পৌঁছেছে। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞান কর্মী আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীনের মা হালিমা শরফুদ্দীনের নামে বাংলা একাডেমি প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

বিজ্ঞান বক্তা আসিফ চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকালেই চিঠিটি পেয়েছি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি আমাকে এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিজ্ঞানচর্চা ও তা প্রসারে নিবেদিত আসিফ ‘ডিসকাশন প্রজেক্টের’ বক্তৃতার মাধ্যমে প্রথম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কসমিক ক্যালেণ্ডার, সময়ের প্রহেলিকা, নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু, প্রাণের উৎপত্তি ও বিবর্তন, আন্তঃনাক্ষত্রিক সভ্যতা বিষয়ক জটিল বিষয়ে দর্শনীর বিনিময়ে বক্তৃতার আয়োজনের মধ্যে আছে অভিনবত্ব ও কল্পনার দুঃসাহস। তিনি দেশব্যাপী এরকম ৪৮টি ওপেন ডিসকাশন বা বক্তৃতা অনুষ্ঠানের সফল উদ্যোক্তা। শৈশব থেকেই তিনি এ সমাজ ও সভ্যতা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন ভিন্নভাবে। পদার্থবিজ্ঞান, গণিতশাস্ত্র, জীববিজ্ঞান, দর্শন, সংগীত ও সাহিত্যের উপর পড়াশুনা করেছেন ধারাবাহিকভাবে। এর মধ্যে জ্যামিতি, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা ও আপেক্ষিকতত্ত্বের আধুনিক সমস্যাগুলো ছাড়াও সভ্যতার গতি-প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা তার অন্যতম বিষয়।

আসিফ প্রকাশিত বই- ‘কার্ল সাগান: এক মহাজাগতিক পথিক’, ‘মহাজাগিতক আলোয় ফিরে দেখা’, ‘ইউক্লিড ও তার এলিমেন্টস’ এবং খালেদা ইয়াসমিন ইতির সঙ্গে ‘মহাবিশ্ব ও নক্ষত্রের জন্মমৃত্যু’।